রান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের সামনে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা।
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিআরএমসি) শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদারের মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদে নামে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের প্রধান ফটকে ভাঙচুর চালায়। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসায় অবহেলার কারণে অভিজিতের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তারা হাসপাতালের নামফলকও ভেঙে দেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ৩৫টিরও বেশি কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে জমায়েত হয়ে ফটক বন্ধ করে দেন। মুরগীটোলা মোড় ও রায়সাহেব বাজারে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হামলা চালানো হয়। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজেও ভাঙচুর করা হয়।
অভিজিতের বাবা-মা জানান, ১৬ নভেম্বর ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে অভিজিৎ ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসার দুই দিন পর তিনি মারা যান। এরপর চিকিৎসায় অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ তুলে ২০ ও ২১ নভেম্বর হাসপাতাল অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার হাসপাতাল আক্রমণে ঢাকা কলেজ, ঢাকা আইডিয়াল কলেজ, সিটি কলেজ, গিয়াসউদ্দিন কলেজ, সরকারি তোলারাম কলেজ, ইম্পেরিয়াল কলেজ, বোরহানউদ্দিন কলেজ, বিজ্ঞান কলেজ, দনিয়া কলেজ, লালবাগ সরকারি কলেজ, উদয়ন কলেজ, আদমজী, নটরডেম, রাজারবাগ কলেজ, নূর মোহাম্মদ, মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, গ্রিন লাইন পলিটেকনিক, ঢাকা পলিটেকনিক, মাহবুবুর রহমান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিসহ রাজধানীর প্রায় ৩৫টির বেশি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
চিকিৎসায় চিকিৎসক কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা ছিল না দাবি করেছেন ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রেজাউল হক। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তার (অভিজিৎ হালদার) অবস্থার অবনতি হলে রোগীর অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সব চিকিৎসা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেষ্টার পরও ১৮ তারিখ মারা যান তিনি। এখানে আমাদের কোনো ত্রুটি কিংবা অবহেলা ছিল না।
তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যু পরবর্তী মরদেহ হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে রোগীর আত্মীয়কে বুঝিয়ে দেন এবং রোগীর সম্পূর্ণ বিল স্থগিত রাখা হয়।
ডা. রেজাউল হক আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল ঘেরাও কর্মসূচি পালন করলে পরিচালকের কক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ছাত্র প্রতিনিধি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়। সভা থেকে মৃত্যুর বিষয়ে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবেন। সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একটি মহল কোমলমতি ছাত্রদের ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য ও উসকানিমূলক তথ্য দিয়ে হাসপাতালের পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন এ চিকিৎসক।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।