ছবি : সংগৃহীত
এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থানে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ (ডিএমআরসি) ও কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারই জেরে ডিএমআরসিতে হামলা, ভাঙচুর করছে সাত কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে কবি নজরুল, সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। তাদের সঙ্গে যোগ দেন সাত কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী ওই কলেজে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে হামলা, ভাঙচুর এবং ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় রাস্তার বিপরীত পাশে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিতে দেখা গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রতিবেদন লেখার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া চলছিল।
স্থানীয়দের অভিযোগ ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে তেমন কোনো ভূমিকায় দেখা যায়নি।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, রোববার ডিএমআরসির নেতৃত্ব ঢাকার বেশকয়েকটি কলেজ একত্রিত হয়ে কবি নজরুল, সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় দিয়েছিলাম এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করার জন্য। কিন্তু আমাদের দেয়া সময়ের ভেতর তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। তাই আমরা আজ একত্রিত হয়েছি। আমরা শুনেছি মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হচ্ছে আমরা এখন সেখানে যাবো। আমাদের সঙ্গে রায়সাহেব বাজারে ও যাত্রাবাড়ী সাত কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা যুক্ত হবে।
এদিকে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার জন্য বারবার মাইকিং করে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, তোমরা শান্ত হও, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি। রোববারের ঘটনায় অনুপ্রবেশকারীরা ছিল, আজও এখানে অনুপ্রবেশকারী আছে বলে মনে হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিটি আসবে, সোহরাওয়ার্দী কলেজকে বলতে চাই গতকালকের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার হবে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।