ফাইল ছবি
ঢাকা-খুলনা, ঢাকা থেকে বেনাপোল নতুন রুটে ট্রেনের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। প্রস্তুত পদ্মা রেল লিংকের পুরো লাইন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এ রুটে ট্রেন যাত্রা শুরু হতে পারে। মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় খুলনা থেকে ঢাকায় যাতায়াত করা সম্ভব হবে।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রস্তাবনা মতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এ রুটে নতুন একটি ট্রেন যাত্রা শুরু করবে। ট্রেনটি প্রতিদিন খুলনা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া, নড়াইল, মধুমতী সেতু, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি এবং ভাঙা হয়ে ঢাকায় আসবে। এরপর ট্রেনটি ঢাকা থেকে যশোর হয়ে যাবে বেনাপোল।
বেনাপোল থেকে একই রুটে আবার ঢাকায় আসবে ট্রেনটি। এরপর বিকেলে ফের ঢাকা থেকে নড়াইলের একই রুট ধরে যাবে খুলনায়। এই ৩৭৬ কিলোমিটারের পথ থেকে কমে হয়ে যাবে ২০৮ কিলোমিটারে।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবস্থাপক মো. মামুনুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে। আমাদের প্রস্তুতি শুরু চলছে। ইতোমধ্যে খুলনা থেকে ঢাকায় এবং বেনাপোল ঢাকায় নতুন রুটের যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নেয়া আছে। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এ পথে যাত্রীবাহী ট্রেন চালাব-এমন প্রস্তাব সংশ্রিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দেয়া আছে।
তিনি বলেন, খুলনা থেকে যাত্রা শুরু করে যশোরের সিঙ্গিয়া থেকে নড়াইল হয়ে মধুমতি সেতু পার হয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, সেখান থেকে ফরিদপুরের ভাঙা হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাবে। ট্রেনটি পরবর্তীতে ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোলে যাবে। একইভাবে বেনাপোল থেকে ঢাকা ও বিকেলে ঢাকা থেকে খুলনায় ফিরবে। খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত এবং বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে সময় লাগবে সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা। সুন্দরবন এক্সপ্রেসে যেখানে ৩৭৬ কিলোমিটার দূরত্ব ছিল সেখানে নতুন ই রুটের দূরত্ব হবে ২০৮ কিলোমিটার। নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চললেও আগের কোনো ট্রেনের রুটের পরিবর্তন হচ্ছে না-জানান তিনি।
মামুনুল হক আরও বলেন, সারাদেশেই আমাদের রেল চালানোর চাহিদা আছে। এ কারণে সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস আগে যেভাবে ঢাকায় যেতো সেভাবেই আগের মতো ট্রেন দুটি ঢাকায় যাতায়াত করবে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।