Apan Desh | আপন দেশ

‘আগের তিন নির্বাচন কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:২৭, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৪:৫১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

‘আগের তিন নির্বাচন কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত’

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার

গত তিন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অপরাধ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। এমন মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এফডিসিতে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসি, প্রার্থী ও নাগরিকের ভূমিকা’ নিয়ে ছায়া সংসদে তিনি এই কথা বলেন।

বদিউল আলম বলেন, গত তিন নির্বাচনে যারা নির্বাচনি অপরাধ করেছেন তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। সবচেয়ে বড় অপরাধ করেছে নির্বাচন কমিশন। গত ৩ নির্বাচনে কেউ কেউ ইচ্ছা করে সত্য কথা বলেনি। আর কাউকে কাউকে বাধ্য করা হয়েছিল সত্য না বলতে।

গণমাধ্যম প্রসঙ্গে সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গত তিন নির্বাচনে কেউ কেউ ইচ্ছা করে সত্য বলেনি। আবার কাউকে কাউকে বাধ্যও করা হয়েছিল সত্য না বলতে।’ 

নতুন নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৃক্ষ তার ফলে পরিচয়। তবে এ ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নাই। কারণ, গতবারের মত ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের চাপ নাই। নারী ভোটার ও প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন সংস্কার কমিশন প্রধান।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন একদিনের বিষয় নয়, এটি একটি প্রক্রিয়ার বিষয়। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সে প্রক্রিয়া সঠিক হতে হয়। এর মূল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের পর গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হচ্ছে সরকার বা প্রশাসন। তাদের সহযোগিতা ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। যা বিগত সময়ে পরিলক্ষিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনি অপরাধ প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তরাই করেন। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ছলে-বলে কৌশলে নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করে, তাহলে কারো পক্ষেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে তাই আশা করবো।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, পুরনো স্বৈরাচারী সংস্কারে ফিরে না যাওয়ার জন্যই সংস্কার দরকার। সংস্কারের জন্য কিছু সময় দিতে হবে। তরুণদের কাছ থেকে শিখলে পরাজয়ের কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আলোচনার ভিত্তিতে একটি রোডম্যাপ তৈরি হওয়ার দরকার। যেখানে কি কি সংস্কার হবে এবং কেমন সময় লাগবে তা উঠে আসবে। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কবে হবে তা নির্ধারণ হওয়া দরকার।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়