ছবি: সংগৃহীত
যমুনা নদীর উপর ডাবল লাইনের ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুর উপর ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচল সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে এ সেতু দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তবে উদ্বোধনের আগেই সেতুটির নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, উদ্বোধনের আগেই এটির (যমুনা সেতু) নাম পরিবর্তন করা হবে। তবে নাম এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৬ শতাংশ। আর নির্মাণকাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ শতাংশ। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আমরা ট্রেন চলাচলের সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই এ সেতু রেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে চাই।
এদিকে জানুয়ারিতে সেতুতে রেল চলাচল শুরু হলেও, একটি ডিজিটাল কম্পিউটার-ভিত্তিক সিগনালিং ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে। মাসুদুর রহমান বলেন, ডিজিটাল কম্পিউটার-বেজড সিগন্যাল ইনস্টল করতে এপ্রিল পর্যন্ত লাগতে পারে। তবে এ বিলম্বের কারণে রেল চলাচলে সমস্যা হবে না, কারণ সাময়িকভাবে এনালগ সিগন্যাল ব্যবহার করা যাবে।
যমুনা সেতুর ৩০ মিটার দূরত্ব রেখে নতুন রেল সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯৮ সালে চালু হওয়া যমুনা সেতুতেও রেলপথ পরে যুক্ত করা হয়। তবে এতে সেতুর কাঠামোগত সমস্যা দেখা দেয়ায়– ট্রেনের গতি বেশ কম রাখতে হয়। এতে যাত্রাপথে দেরি হওয়াসহ ভোগান্তির শিকার হন ট্রেনের যাত্রীরা।
এছাড়া বিদ্যমান যমুনা সেতুতে ট্রেন চলাচলের লাইন মাত্র একটি। ট্রেন চলাচলের কারণে সেতুতে একটি ফাটল দেখা দেয়ার পর ২০০৮ সালে ট্রেনের গতি কম রাখার মতো বিধিনিষেধ দেয়া হয়। তাই বর্তমানে এ লাইন দিয়ে মন্থর গতিতে ট্রেন চলাচল করে। আবার যমুনা সেতুর পূর্ব স্টেশন থেকে ট্রেন সেতুতে প্রবেশ করলে, পশ্চিম স্টেশন প্রান্তে অন্য ট্রেনকে অপেক্ষা করতে হয়। বর্তমানে ২০ কিলোমিটার গতিসীমা নিয়ে গড়ে ৩৮টি ট্রেন যমুনা সেতু পাড়ি দেয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।