Apan Desh | আপন দেশ

নতুন পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হলো জুলাই বিপ্লবের গৌরবগাথা

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

নতুন পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হলো জুলাই বিপ্লবের গৌরবগাথা

প্রতিটি বইয়েই আছে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে সংঘটিত- জুলাই বিপ্লবের ছোঁয়া। ছবি ভিডিও থেকে নেয়া

নতুন পাঠ্যবইয়ে এবার যুক্ত হয়েছে জুলাই বিপ্লবের ঘটনা। বইয়ের প্রচ্ছদে স্থান পেয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতীকী গ্রাফিতি। যা সংগ্রামী জনগণের ঐক্য ও আন্দোলনের চিত্র ফুটিয়ে তোলে। পাশাপাশি বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে একাত্তরের মহান স্বাধীনতার পেছনে থাকা সকল নায়কের অবদান। 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক পরিসরে পরিমার্জন ও সংস্করণের মাধ্যমে পাঠ্যবইগুলো ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

জানা যায়, এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৪০ কোটি ১৬ লাখ নতুন বই ছাপাচ্ছে সরকার। যার সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭শ ৫০ কোটি টাকা। প্রতিটি বইয়েই আছে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে সংঘটিত জুলাই বিপ্লবের ছোঁয়া।

অন্যান্য শ্রেণির মতো তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়েও ‘যত বিপদ তত ঐক্য’ শিরোনামের গ্রাফিতি স্থান পেয়েছে। আর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সালের ইতিহাসসংশ্লিষ্ট গ্রাফিতি। জুলাই বিপ্লবের ঘটনা ও বীরত্বগাথা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বইয়ে গল্প আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে।
 
এনসিটিবি বলছে, ইতিহাসবিকৃতি থেকে পাঠ্যবইকে মুক্ত রাখতে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশ গঠনে অবদান রাখা সবাইকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও তাজউদ্দীন আহমদের অবদান ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ও যুক্ত করা হয়েছে আগামী শিক্ষাবর্ষের বইয়ে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান ড. এ কে এম রিয়াজুল ইসলাম বলেন, যে গ্রাফিতিগুলো সার্বজনীন আবেদন সৃষ্টি করে, স্বপ্নের কথা বলে সেগুলোকে আমরা বইয়ে রেখেছি। ইংরেজি বইয়ে যেমন গ্রাফিতি নামে একটা আর্টিকেল রয়েছে, তেমনি ‘আমরা তোমাদের ভুলবো না’ -- এমন নামে একটি লেখাও পঞ্চম শ্রেণির বইয়ে রেখেছি।
 
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ঊষালগ্নে মেজর জিয়াউর রহমান মৃত্যু ও ভয় উপেক্ষা করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ২৬ মার্চ একবার ২৭ মার্চ আরেকবার, সেগুলো বইয়ে আমরা উল্লেখ করেছি। পাশাপাশি ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের জাতিকে প্রস্তুত করেছে, সেটাও বইয়ে থাকছে।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, জাতীয় দর্শন অনুযায়ী হবে আমাদের শিক্ষাক্রম। সে অনুযায়ী হবে পাঠ্যপুস্তক, যা বছর বছর পরিবর্তন হবে না। গুণগত মানসম্পন্ন কাগজে ছাপাতে হবে। যাতে একই বই আমরা ১০-২০ বছর ব্যবহার করতে পারি। তাহলেই ব্যয় কমে আসবে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়