পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ছবি: আপন দেশ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গত ৫৩ বছরে একাত্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি বলে ২৪-এর অভ্যুত্থান ঘটানো হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে গণমানুষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণ এ ধরণের উৎসবে তুলে ধরা হোক এটাই চাই। একাত্তরের ইতিহাস যেভাবে বিকৃত করা হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস যাতে বিকৃত করা না হয় সেটাই আমার চাওয়া। নতুন করে ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘৭১ টু ২০২৪’ শিরোনামের এ উৎসবের উদ্বোধনের পর আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আমরা এখন একটা সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। চলচ্চিত্র নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন আছে। আমরা জানি এটা অনেক কষ্টসাধ্য কাজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করে যাবো। অনেক রক্তের উপর দিয়ে একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা এসেছি। চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে দক্ষদের নেতৃত্বটা অনেক বেশি দরকার। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে গোটা জাতির সামনে ৭১ থেকে ২৪ এর পটভূমি তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, গত ৫৩ বছরে একাত্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি বলে ২৪-এর অভ্যুত্থান ঘটানো হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে গণমানুষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণ এ ধরণের উৎসবে তুলে ধরা হোক এটাই চাই। একাত্তরের ইতিহাস যেভাবে বিকৃত করা হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস যাতে বিকৃত করা না হয় সেটাই আমার চাওয়া। নতুন করে ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র সেক্টরে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক কিছুই করা সম্ভব ছিলো। কিন্তু এতদিন কিছুই করা হয়নি। এ ইন্ডাস্ট্রিকে অবহেলা ও অবজ্ঞা করা হচ্ছে। বাঁকা চোখে দেখেছে সবাই। কিন্তু সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে চলচ্চিত্র শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের অনেক প্ল্যান রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সারা বিশ্বে তুলে ধরতে চাই।
সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, এ অভ্যুত্থানে পাঁচ শতাধিক তরুন চোখ হারিয়েছে। যে চোখ দিয়ে তারা চলচ্চিত্র ও পৃথিবীকে দেখতে পেতো। কিন্তু স্বৈরাচার খুনি হাসিনা আমাদেরকে অনেক পিছিয়ে নিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারা ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। আমরা সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই বাংলাদেশ হবে বাংলা চলচ্চিত্রের কেন্দ্রস্থল।
বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামের আয়োজনে জাতীয় জাদুঘরে শুরু হলো আটদিনব্যাপী বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব। আটদিনের এ উৎসবে বাংলাদেশসহ ১০১টি দেশের ২৭৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে উৎসবের ছবিগুলো প্রদর্শিত হবে।
২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার শেষ হবে আটদিনের এ উৎসব।
বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আলোকচিত্র সাংবাদিক নাসির আলী মামুন, সিটি ব্যাংকের এমডি কথাসাহিত্যিক মাশরুর আরেফিন।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রদর্শন করা হয় মেহেদী মোস্তফা নির্মিত ‘ফ্যান্টাসি ইন এ কনক্রিট জংগল’, ফিলিস্তিনের নির্মাতা মাজদি ই ওমারি নির্মিত ‘মার মামা’, একই দেশের নির্মাতা তারেক রিন্নাইয়ের ‘জু’ ও সুইজারল্যান্ডের চারলোটা ওয়ালার্টের ‘গ্রে ল্যান্ড’।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।