বিএনপির কর্মীসভার মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন কুষ্টিয়ার খোকসা থানার ওসি শেখ মাঈনুল ইসলাম
কুষ্টিয়ার খোকসা থানার ওসি শেখ মাঈনুল ইসলাম বিএনপির কর্মীসভায় দলের নেতার মতো বক্তব্য দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন। কর্মীসভায় সকাল থেকে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল চলছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন খান প্রথমে মঞ্চ থেকে নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার আহবান জানান।
কুষ্টিয়ার খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাঈনুল ইসলাম বিএনপির কর্মীসভার মঞ্চে দলীয় নেতার মতো বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন। পরে বেলা ১১টার দিকে খোকসা থানার ওসি শেখ মাঈনুল ইসলাম মঞ্চে উঠে মাইক হাতে নিয়ে বক্তৃতা দেন।
এসময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ১৫-১৬ বছর কীভাবে, কোথায় ছিলেন আপনারা আমার চেয়ে ভালো জানেন। কোথায়, কীভাবে কষ্ট করেছেন। আপনারা ঠিকমতো বাড়িতে থাকতে পারেন নাই। আমি পুলিশ, হয়ত আরেকজন ছিল। আমাকে বাধ্য করেছে। হয়ত আমাকে দেখে আপনারা বলছেন এ বড় বড় কথা বলে। আসলে না। আমিও ওই রকম নির্যাতিত ছিলাম। ৫ তারিখের গণঅভ্যুত্থান না হলে আমি এখানে ওসি হতে পারতাম না। এটা আমি সবসময় বলি ও স্বীকার করি।
গত ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বিএনপির কর্মীসভার মঞ্চে ওসি এসব কথা বলেন। শুক্রবার রাতে সে বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই একটি রাজনৈতিক মঞ্চে ওসির এমন বক্তব্যকে অপেশাদার বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ মানুষ।
২ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে ওসি শেখ মঈনুল ইসলাম আরও বলেন, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর আপনারা এ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। ১৫-১৬ বছর পর আপনারা এক জায়গায় হতে পারছেন। সবার সঙ্গে কথা বলতে পারছেন। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করবো, যে সুযোগটা আসছে সে সুযোগটার সদ্ব্যবহার করেন। এমন কোনো কাজ কইরেন না যে আপনাদের মধ্যে থেকে তৃতীয় পক্ষ কোনো সুযোগ নিতে পারে।
এরপর তাকে বলতে শোনা যায়, এ প্রোগ্রামটা আপনাদেরই। আমি কেন পুলিশ আসবো। তারপরও আমি আসলাম। আমার থানার সামনে, আসতে হবে। মনও চাই আসতে। মনেরও টান দেয় যে এখানে একটু কথা বলি। আসলে সব সময়তো সব কথা বলা যায় না। আমি আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, কেউ কোনো ঝামেলা করবেন না। আমরা আপনাদের সেবায় এখানে আছি। যতটুকু পারি আমাদের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবো। সব হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে যান। আপনাদের মধ্যে যদি হিংসা থাকে তাহলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নেবে। এ সুযোগ আর দেয়া যাবে না।
পরে যদিও ওসি শেখ মঈনুল ইসলাম তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, বিএনপির দুই পক্ষকে থামাতে ওই মঞ্চে এমন বক্তব্য দিয়েছি। এছাড়া আমার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।