Apan Desh | আপন দেশ

‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হচ্ছে জাতির মনন বিকাশের মাধ্যম’

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ২২:৪৬, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হচ্ছে জাতির মনন বিকাশের মাধ্যম’

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন,  ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হচ্ছে জাতির মনন বিকাশের একটা মাধ্যম। এ উৎসবের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারি। তাদের ফিল্ম দেখার মাধ্যমে তাদের দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারি।
২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে  শুরু হয় এ উৎসব। এবারের প্রতিপাদ্য ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ । এবছর উৎসবের কান্ট্রি ফোকাস চীন।  উৎসবে ৭৫ দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। 

নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিগুলো আপনারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে তুলে ধরুন, তাতে বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। আর সেখানে সিনেমা একটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও উৎসব কমিটির নির্বাহী সদস্য জালাল আহমেদের সভাপতিত্বে  উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। 

চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাইব্র্যান্ট কালচারাল এক্সচেঞ্জের একটি মাধ্যম। ঢাকায় এ আয়োজনের পাশাপাশি চীনে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের বিভিন্ন আয়োজন। উৎসবে মোট ১৫ টি সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে ১৫ টি চীনা ফিল্ম প্রোডাকশন টীমের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে দেশীয় প্রোডাকশন টিমগুলো।

এর আগে বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনা চলচ্চিত্রের পোস্টার প্রদর্শনী কর্নারের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশেষ অতিথি চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং চীনা চলচ্চিত্র প্রশাসনের আন্তর্জাতিক বিভাগের পরিচালক শু ইয়াং।

উদ্বোধনী আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করে জলের গান। পরে উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে দেখানো হয় চীনা নির্মাতা চিউ ঝ্যাংয়ের ছবি ‘মুন ম্যান’। 

উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্ম, শর্ট অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেনস ফিল্ম মেকারস সেশনে পূর্ণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। এশিয়ান সিনেমা প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকছে ১৭ চলচ্চিত্র। রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগে থাকছে রাশিয়ার নির্মাতা এলেক্সি ফেডরচেনকোর চলচ্চিত্র। বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেশের ১০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ওয়াইড অ্যাঙ্গেল বিভাগে থাকছে চীনের ১৫টি চলচ্চিত্র। সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড বিভাগে প্রদর্শিত হবে ৪৩ দেশের ৩৯টি চলচ্চিত্র। চিলড্রেন ফিল্ম বিভাগে থাকছে ১০টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র। স্পিরিচুয়াল ফিল্মস বিভাগে প্রদর্শিত হবে ১৭ ছবি। উইমেনস ফিল্ম মেকারস সেশনে ২৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং প্রামাণ্যচিত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগেই থাকছে পুরস্কার।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে থাকছে কয়েকটি বিশেষ প্রদর্শনী। বিনামূল্যে দেশি-বিদেশি সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন দর্শক
১৭-১৮ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে মাস্টারক্লাস। ১৯ জানুয়ারি এই উৎসবের পর্দা নামবে।

সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ওইদিন প্রদর্শিত হবে পরিচালক ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর চলচ্চিত্র ‘বলী’।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়