ছবি: আপন দেশ
রাজধানী ঢাকার বায়ুমান ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলা দূষণের মাত্রা এখন নাগরিকদের জন্য বড় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে।
আইকিউ এয়ারের সূচক অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ঢাকার বায়ুর মান স্কোর ছিল ২৩৯। যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুদূষণের সরাসরি প্রভাব পড়ছে মানুষের হৃদরোগের ওপর। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, দূষিত বায়ুর কারণে বাতাসে থাকা অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। এতে হৃৎপিণ্ড পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। যা রক্তনালির লেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করে। হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
আইকিউ এয়ারের জরিপে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে ঢাকার সবচেয়ে দূষিত এলাকাগুলো ছিল মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং (২৮৬), মার্কিন দূতাবাস এলাকা (২৮৩), হেমায়েতপুর (২৮০), আগাখান একাডেমী (২৬৭), এবং কল্যাণপুর (২৬২)।
দূষণ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাপসের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার বায়ুমান ছিল ২৮৮। যা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালের পর থেকে কখনোই এত খারাপ অবস্থায় পৌঁছায়নি ঢাকার বাতাস।
অধ্যাপক রেজাউল করিম আরও বলেন, শুধু বায়ু দূষণই নয়, এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কারণও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। যানবাহনের উচ্চ শব্দ, কনস্ট্রাকশনের কাজ ও মানসিক চাপও এ ঝুঁকির কারণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড অনুযায়ী, বাতাসে পিএম ২.৫ কণার সহনীয় মাত্রা শূন্য থেকে ৫০ হলেও ঢাকার বাতাসে এর পরিমাণ ৩২.৮ গুণ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূষণ কমাতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। ভারী যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ, নির্মাণ কাজের সময় দূষণ রোধে ব্যবস্থা ও নগরীতে সবুজায়ন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।