ফাইল ছবি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন চার সংস্কার কমিশনের প্রধান। এর মধ্যে প্রায় দেড়শোটি সুপারিশ দিয়েছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার জানান, ১৬টি ক্ষেত্রে প্রায় ১৫০টি সুপারিশ দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বদিউল আলম মজুমদার যেসব সংস্কার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে রয়েছে-
- দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না।
- কোনো দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
- বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার দিতে হবে।
- রাষ্ট্রপতি হবে নির্দলীয়।
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচন দেওয়া।
- ২০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হবে।
- দুইবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যেনো কেউ রাষ্ট্রপতি না হন।
- একই সঙ্গে কেউ যেনো প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা এবং দলীয় প্রধান না হন।
- সংসদের উচ্চকক্ষ হবে সংখ্যানুপাতিক ভিত্তিতে।
- উচ্চকক্ষের অর্ধেক সদস্য হবেন দলীয়, বাকি অর্ধেক হবেন নির্দলীয়। নির্দলীয় সদস্যদেরও রাজনৈতিক দলগুলোই মনোনয়ন দেবে। কিন্তু সেখানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
- সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ হবে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে।
- সংসদের আসন ১০০টি বাড়ানো। এরমধ্যে এক চতুর্থাংশ নারীদের জন্য সংরক্ষিত করা এবং এগুলো ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্বাচন করা। যার মাধ্যমে নারীরা সরাসরি নির্বাচিত হবেন।
- দল নিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য এবং সুনামসম্পন্ন ব্যক্তি যাতে রাষ্ট্রপতি হতে পারেন সেজন্য নির্দলীয় রাষ্ট্রপতি সুপারিশ করা হয়েছে। একটি বৃহত্তর নির্বাচক মণ্ডলীর দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য আমরা সুপারিশ করেছি। এই নির্বাচক মণ্ডলী হবে সংসদ সদস্যগণ এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। পরে ৭ অক্টোবর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার।
এদিকে, সংস্কার কমিশনগুলোকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। তবে প্রথম ধাপের ৫টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত বাড়ায় সরকার। এছাড়া, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
আপন দেশ/এসএমএস
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।