ছবি : আপন দেশ
অপরিচিত এক ফোনে হঠাৎ পাল্টে গিয়েছিল হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিবেশ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ফোনে বলা হয়েছিল রোম থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা রয়েছে। এমন আতঙ্কে বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করে বিমানটিতে তল্লাশি চালায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
বিমানে বোমার খবর পাওয়ার পরপরই বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া, বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামসহ সবাই বিমানবন্দরে ছুটে আসেন। শুরু হয় নিরাপত্তা সদস্যদের মোতায়েন। বিমান বাহিনীর একটি বোমা নিষ্ক্রিয় দল, কুইক রেসপঞ্জ ফোর্স, ফায়ার সার্ভিসসহ বিপুল সংখ্যক অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়।
এর আগে প্রায়শই এমন মহড়া হলেও বাস্তবে এমন ঘটনায় সবার মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজেরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে থাকে। অপেক্ষায় থাকে কখন ফ্লাইটটি অবতরণ করবে। অবশেষে সকাল ৯টা ৩৫ মিটিটে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের পরপরই গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে শুরু হয় তৎপরতা। এরপর ফ্লাইটের ২৫০ জন যাত্রী ও ১৩ ক্রুকে প্লেন থেকে বের করে টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিমানে ‘বোমা হামলার হুমকি’, নিরাপত্তা জোরদার >>>
নিরাপত্তাকর্মীরা প্লেনটি ঘিরে রাখে। তারপর প্লেনে কোনো বোম্ব থ্রেট আছে কি না তা জানতে বোমা ডিসপোজাল ইউনিটসহ যৌথবাহিনী তল্লাশি চালায়। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বিমানের ভেতরে সিট, করিডোর, টয়লেট, ক্যাফেতে তল্লাশি চালায়। যাত্রীদের জরুরি ভিত্তিতে নামানো হলেও তাদের হ্যান্ড ব্যাগেজ প্লেনেই রয়েছে। সেগুলো একে একে তল্লাশি করা হয়।
তল্লাশি দলটি বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত পুরো ফ্লাইট তল্লাশি চালায়। দুটি ব্যাগ সন্দেহজনক হলেও তাতেও বোমা সদৃশ্য কোন কিছু পাওয়া যায়নি। সবশেষ ১২টার দিকে ফ্লাইটটিকে নিরাপদ ঘোষণা করলে অভিযানে অংশ নেয়া সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
পরে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া বলেন, আমাদের নিরাপত্তা যে কত সুসংহত সেটা আমরা আজ বুঝিয়ে দিয়েছি। আমাদের প্রতিটি সদস্য আন্তরিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের সংবাদ পাওয়ার পরপরই আমি নিজেসহ সব কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কোনও কিছু না পাওয়া গেলেও আমরা প্রতিটি তথ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি। নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সবসময়ই জিরো টলারেন্স।
এর আগে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত ৮টায় রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হয় বিজি-৩৫৬ ফ্লাইট। ঢাকায় আসার সময় ফ্লাইটটি বোমা হামলার হুমকি পায়। পরে বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।