রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং।
জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হবে জুলাই চার্টার। এরপরই নির্ধারিত হবে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও জুলাই অভ্যুত্থানে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেই সংস্কার কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ছয়টি সংস্কার কমিশন প্রধানকে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছেন। এ কমিশনের প্রধান হচ্ছেন অধ্যাপক ইউনূস, আর ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ। বাকি পাঁচ সংস্কার কমিশনের প্রধানরাও এর সদস্য।
এ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করবে। এতে ঠিক করা হবে কোন সংস্কার এখনই করা সম্ভব, কোনগুলো পরবর্তীতে বাস্তবায়ন হবে। কোন পরিবর্তনের জন্য সাংবিধানিক সংশোধন প্রয়োজন।
সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের স্বাক্ষরের মাধ্যমে জুলাই চার্টার গৃহীত হবে। এতে অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। আর কিছু সংস্কার বাস্তবায়ন করবে পরবর্তী সরকার। এ বাস্তবায়নের ওপরই নির্ভর করবে আগামী নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরে হবে নাকি আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।