
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
পিলখানা হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার পাওয়া, শহীদের অবদান ও তাদের স্মৃতি ধরে রাখা এবং অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করাই এ সংগঠন গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি নৃশংসভাবে সেনাকর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। গত ১৬ বছর ধরে শহীদ পরিবারগুলো প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন-চার হাজার মানুষের জন্য মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করছে। এ হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে কাজ করছে তারই ধারাবাহিকতায় এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করা হয়েছে। ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যেকোনো শহীদ পরিবারের সদস্য এ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে পারবেন।
সেনা কর্মকর্তা নিহতের গোটা বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে অবগত আছেন, বিগত দিনগুলোতে গণমাধ্যমে নিয়মিত এ বিষয়ে মন্তব্য দিয়ে এসেছে এমন কয়েকজনকে অ্যাসোসিয়েশন থেকে আহবায়ক কমিটিতে নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা মূলত শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবে।
‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ এর মুখপাত্র ও আহবায়ক কমিটির সদস্যরা হচ্ছে শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌস, শহীদ লে. কর্নেল ইনশাদ ইবনে আমিনের স্ত্রী ডা. রোয়েনা মতিন, শহীদ মেজর মোসাদ্দেকের স্ত্রী কোহিনূর হোসাইন, শহীদ মেজর মোহাম্মাদ সালেহের স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, শহীদ মেজর মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী রিতা রহমান জুলি, শহীদ কর্নেল কুদরত এলাহী রহমান শফিকের সন্তান অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান, শহীদ লে. কর্নেল লুৎফর রহমানের সন্তান ডা. ফাবলিহা বুশরা, শহীদ কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের সন্তান আশরাফুল আলম হান্নান।
লক্ষ্যপুরণে এবং সংশ্লিষ্ট কাজের সুবিধার্থে এ মুহূর্তে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাজের প্রয়োজনে সম্মিলিত শহীদ পরিবারের বক্তব্য অথবা স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হলে নবগঠিত শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।