
সিরাজগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি আপন দেশ
দেশের সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো বৈষম্য রাখবো না। আসন্ন রমজানে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। সেচ উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যমুনা সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জ সয়দাবাদ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীকে তিনি এসব প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন<<>> ২৫ ডিগ্রির উপরে এসি চালাতে বললেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ৯ হাজার মেগাওয়াট। আর গ্রীষ্ম মৌসুমে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। এ পার্থক্য হয় দুটি কারণে। এর মধ্যে একটি হলো সেচ। সেচের জন্য প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট অতিরিক্ত লাগে। সেচের বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। অন্য কারণটি এসি। এজন্য প্রায় ৫-৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এসির তাপমাত্রা যদি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি থাকে, তাহলে ২-৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এসব বিবেচনা করে আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে। আগে গরমের মৌসুমে এসি শুধু শহরের মানুষ ব্যবহার করতেন, আর এখন গ্রামের মানুষও এসি ব্যবহার করেন।
এর আগে সিরাজগঞ্জ শহরের যমুনা নদীর হার্ডপয়েন্টে সাত দিনব্যাপী সপ্তম জাতীয় কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্পের (কমডেকা) সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ফাওজুল কবির খান।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।