Apan Desh | আপন দেশ

ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ২১:৪২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

তোফাজ্জল হোসেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যা ঘটনায় মামরা করা হয়। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) হস্তান্তর করেছে আদালত।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন। সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে নন, এমন কর্মকর্তাকে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৪ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। তবে তোফাজ্জলের ফুফাতো বোন আসমা আক্তার অভিযোগপত্র গ্রহণের আবেদন করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সেলিম জাবেদ আদালতে জানান, ছয়জন আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আটজনের নাম থাকলেও অভিযোগপত্রে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। 

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেই তদন্ত কর্মকর্তা যথাযথভাবে ২১ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। তাই পুনরায় তদন্তের প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্রদের ছয়টি মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ চুরি হয়েছিল। সেদিন রাত আটটার দিকে তোফাজ্জল নামের ওই যুবক হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাকে আটক করে হলের অতিথিকক্ষে নিয়ে যান। পরে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাকে মারধর করা হয়। এরপর তাকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। খাওয়া শেষে আবার তাকে হলের অতিথিকক্ষে এনে ব্যাপক মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। মারধরের পর দিবাগত রাত ১২টার দিকে হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তারা জানতে পারেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল মারা গেছেন।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ১৯ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেদিন রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পরে তোফাজ্জলের ফুফাতো বোন আসমা আক্তার বাদী হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এ মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ছাত্রের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় শাহবাগ থানা-পুলিশ।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অভিযোগপত্রভুক্ত ২১ ছাত্রের মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। তারা এ হত্যাকাণ্ডে দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আর অন্যরা পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়