Apan Desh | আপন দেশ

বাংলাদেশে দৈনিক আত্মহত্যা করছেন ৫৬ জন

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১২:২২, ৪ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে দৈনিক আত্মহত্যা করছেন ৫৬ জন

ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার কমছে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য সাময়িকী ল্যানসেট। সচেতনতা বৃদ্ধি ও নানা উদ্যোগের ফলে এ প্রবণতা নিম্নমুখী হয়েছে। ল্যানসেটের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশেও আত্মহত্যার হার কিছুটা কমেছে। তবে স্থানীয় জরিপ বলছে, এখনো দেশে প্রতিদিন গড়ে ৫৬ জন আত্মহত্যা করেন।

১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২০৪টি দেশের আত্মহত্যার প্রবণতা বিশ্লেষণ করেছে ল্যানসেট। গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯০ সালে প্রতি লাখে ১৪.৯ জন আত্মহত্যা করতেন। যা ২০২১ সালে কমে ৯ জনে নেমে এসেছে। তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। যেখানে প্রতি লাখে ১৯.২ জন আত্মহত্যা করেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, আত্মহত্যার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মানসিক সমস্যা, সামাজিক ও পারিবারিক সহিংসতা, নিঃসঙ্গতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও দারিদ্র্য। আগ্নেয়াস্ত্র ও কীটনাশকের সহজলভ্যতাও আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়িয়ে তুলছে।

ল্যানসেটের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে প্রতি লাখে ৮.১ জন আত্মহত্যা করতেন। যা ২০২১ সালে কমে ৩.৬৬ জনে দাঁড়ায়। তবে এ সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরিপ বলছে, দেশে প্রতি লাখে ১২.৪ জন আত্মহত্যা করছেন। ২০২৩ সালে ২০ হাজার ৫০৫ জন আত্মহত্যা করেন। যা দৈনিক গড়ে ৫৬ জনের সমান।

২০১৬ সালে বাংলাদেশে আত্মহত্যার হার ছিল প্রতি লাখে ১৪.৭ জন। অর্থাৎ ২৩ হাজার ৮৬৮ জন আত্মহত্যা করেছিলেন। সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, আত্মহত্যার হার কমলেও তা খুবই সামান্য।

আরও পড়ুন>>>নতুন সংবিধান ছাড়া নতুন প্রজাতন্ত্র সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম

জরিপ অনুযায়ী, ১৫-১৭ বছর বয়সী নারীদের এবং ১৮-২৪ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। গ্রামে আত্মহত্যার হার শহরের চেয়ে বেশি। বিশেষ করে বেকারদের মধ্যে আত্মহত্যার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। সাধারণত গলায় ফাঁস দেয়া ও কীটনাশক পান করার মাধ্যমে আত্মহত্যা করা হয়।

সিআইপিআরবির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা হয়তো কিছুটা কমেছে। তবে তা ল্যানসেটের তথ্যের তুলনায় অনেক বেশি।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ বয়স ও অঞ্চলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশকের বাজারজাত ও ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়