
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী। ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে স্বাধীনতা পদকের জন্য প্রাথমিকভাবে আলোচনায় ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার তার নাম বাদ দিয়ে তালিকা প্রকাশ করে। কেন তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে তার কারণ জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে ওসমানীর নাম বাদ দেয়ার কারণ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানী ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। অন্তর্বর্তী সরকার প্রাথমিকভাবে তাকে এ বছর মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছিল। তবে দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার কোনো বাংলাদেশিকে একাধিকবার দেয়ার কোনো নজির না থাকায়, এ সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে বাতিল করা হয়।
আরওপড়ুন<<>>এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২৫ সালে ৮ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সরকার স্বাধীনতা পুরস্কার দেবে বলে জানা যায়। সে তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর নাম ছিল। তার নামসহ গত ৬ মার্চ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ তালিকায় সাতজনের নাম স্থান পেয়েছে। তারা হলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যের ক্ষেত্রে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।