
মো: আশরাফুল ইসলাম।ি ফাইল ছবি
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মানছে না ইকোনমিক ক্যাডার মো: আশরাফুল ইসলাম। ওই মন্ত্রণালয় তাকে স্বপদে ফিরে যাবার নির্দেশ দিলেও নিজ দায়িত্বে বহাল তবিয়তে আছেন স্বৈরাচার হাসিনার প্রিয়পাত্র আশরাফুল ইসলাম। ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে।
অপকর্ম শতভাগ বাস্তবায়নের ফলে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ইকোনমিক ক্যাডার মো: আশরাফুল ইসলামকে পদায়ন করে অ্যাডমিন ক্যাডারে। তাকে আনা হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ে। এ মন্ত্রণালয়ের অধিনে ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদফতরে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ প্রকল্পের পরিচালক পদটি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে উপহার পান শেখ হাসিনার আশির্বাদ হিসেবে।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দুইতিনটি প্রকল্প ঘিরে তিনি এ মন্ত্রণালয়েই। প্রকল্পের কাজে পড়েছে ব্যর্থতার ছাপ। কারণ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ বিষয়ে বিষয়ে কোন পূর্ব-অভিজ্ঞতা নেই আশরাফুলের। তবে আছে অনিয়ম দুর্নীতির অভিজ্ঞতা। দফায় দফায় পদোন্নতিসহ নিয়োগ পেয়েই তিনি তার প্রকল্পের অধীন আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান নিয়োগে চরম দূর্ণীতির আশ্রয় গ্রহণ করেন। দলীয় আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের প্রতিষ্ঠান ‘বুশরা কনসের্টিয়ামকে কাজ পাইয়ে দিতে তৎপর হন। তবে ঘটনা ফাঁস হলে শেষ নাগাদ কাজটি বাতিল করে উর্ধতন কর্মকর্তা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে কয়েকটি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন এরমধ্যে ভূমি ডিজিটালাইজেশন অন্যতম। ডিজিটাল ভূমি জরিপ কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিতে প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আলোকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শেখ মতিয়ার রহমানকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ওই মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদফতরের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ প্রকল্পের পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়। আর আশরাফুল ইসমলামকে স্বপদে ও স্বমন্ত্রণালয়ে ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়। গত ৪ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপন জারি করে। তাতে সই করেছেন উপ সচিব আবুল হায়াত মো. রফিক।
আরও পড়ুন<<>> বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ নিয়ে রিট শুনতে বিব্রত বিচারপতি
মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, সোমবার (১৭ মার্চ) রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আশরাফুল ইসলাম রহস্যজনক কারণে নতুন প্রকল্প পরিচালকের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি।
নির্দেশনা বাস্তবায়নের ১০দিন পার হয়েছে। কোন শক্তিবলে পতিত সরকারের প্রিয়কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তিন মন্ত্রণালয়েই। এতে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি স্পর্শকাতর প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে আশরাফুল ইসলামকে মোবাইলে ০১৯৭-----৫০ নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।