
ছবি: আপন দেশ
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ৫ আগস্ট ভারতের দিল্লিতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। ক্ষমতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও একে একে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, রাহাজানিসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের ইস্যুকে সামনে রেখে বাম রাজনৈতিক দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকে পরিকল্পিতভাবে মাঠে নামানো হচ্ছে। সেখান থেকেই তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছে। গোয়েন্দা সূত্রের এসব তথ্য জানা গেছে। আর এর নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে কিছু বাম দলগুলোর সঙ্গে। আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব সংকটে পড়ার পর বাম দলগুলোর মাধ্যমে সরকারবিরোধী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তারা।
রাজনীতির অন্দরমহলে আলোচনা চলছে, যারা অতীতে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ছিল, তারাই হঠাৎ করে কেন রাজপথে সরব? বিশেষ করে গণজাগরণ মঞ্চের কুশীলব ও কিছু বাম দল এখন বিভিন্ন ইস্যুতে কর্মসূচি দিচ্ছে।
গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাম দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি পুরনো। কিছু দল আওয়ামী লীগের ছায়ায় ছিল, কিছু বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছে। তবে এটা ঠিক, বামদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক সখ্য ছিল। সুবিধাবাদী রাজনীতির জন্য তারা আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি করেছে।
আরও পড়ুন>>>বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ভারতের মাটিতে বসে শেখ হাসিনা ও তার শীর্ষ সহযোগীরা অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে বাম দলগুলোর মাধ্যমে আন্দোলনের বারুদ ছড়িয়ে দিতে চাইছে। এমনকি অর্থ সহায়তা দিয়েও বামদের মাঠে রাখার চেষ্টা চলছে।
রাজধানীর শাহবাগ, জাতীয় প্রেস ক্লাব, শহিদ মিনার ও পল্টন মোড়ে বামদের কর্মসূচি বেড়ে গেছে। তাদের পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ মদদ। সঙ্গে রয়েছে ভারতও। আওয়ামী লীগের পতনের পর দলটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বিদেশে বসে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া। আর তাদের প্রধান হাতিয়ার বাম দলগুলো।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।