দাবি আদায়ে কর্মবিরতির ঘোষণা রেলওয়ে গেটকিপারদের

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য অনেকেই নিজ নিজ এলাকায় ছুটছেন। তবে চূড়ান্ত যাত্রা শুরু হবে রমজানের শেষ সপ্তাহে। ঠিক সে সময়কে দাবি আদায়ের মোক্ষম সময় হিসেবে বেছে নিলেন বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত গেটকিপার ও গেটম্যানরা। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি না মানলে আগামী ২৪ মার্চ থেকে একযোগে রেলপথ অবরোধ এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রেলভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছে রেলওয়ে গেটকিপার ও গেটম্যানরা। 
মানববন্ধন থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। 

বিক্ষোভকারীরা জানান, গত বছরের ১৮ আগস্ট রেলভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গেটকিপার ও গেটম্যানদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি যুক্তিসংগত বলে উল্লেখ করা হয় এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ জারির আশ্বাস দেয়া হয়।  

তারা বলেন, গত বছরের ১ নভেম্বর আমাদের অফার লেটার হাতে দেয়ার কথা থাকলেও এখনো দেয়া হয়নি। বৈঠকে আমাদের বলা হয়, স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ার মতো ৪০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে পরীক্ষায় পাস করে ১ হাজার ৮৮৯ জন প্রকল্পের গেটকিপার ও গেটম্যান পদে যোগদান করেন। বর্তমানে কর্মরত ১ হাজার ৫০৫ জন। আপনারা আট বছরের অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। দ্রুত চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাসও দেয়া হয়।  

মানববন্ধনে বিক্ষোভকারীরা আরও বলেন, বারবার এ রকম আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা এ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নতুন কোনো দাবি তুলছি না। ১৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রেলের প্রচলিত বিধি মোতাবেক যে কোনো কর্মচারী তিন বছরের বেশি নিরবচ্ছিন্ন চাকরি করলে তাদের চাকরি সরাসরি স্থায়ীকরণ করা যায়। এজন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমতি অনুযায়ী প্রকল্পের গেটকিপার ও গেটম্যানদের চাকরি রাজস্ব করতে আইনি কোনো জটিলতা নেই।

বিক্ষোভকারীরা জানান, ২৪ মার্চ থেকে রেলপথে ঈদযাত্রা শুরু করবেন ঘরমুখো মানুষ। সেদিন থেকেই কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

আপন দেশ/জেডআই