
ফাইল ছবি।
জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ছেড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ও কাউন্সিলররা। তাদের স্থলে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমলাদের। নিয়ম না মেনে নগর ভবনে কর্মকর্তা ও কর্মচাদির বদলি আর পদোন্নতি যেন থামছে না। এছাড়া রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও নগরভবনে কর্মকর্তাদের রুমে রুমে এসে বিশৃঙ্খলা করছেন এখনও। এসবের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব আদায় তলানিতে।
তবে রাজস্ব আদায় বাড়াতে জোরদার অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। আসন্ন ঈদুল ফিতরের পরে নগরীতে লিফলেট বিতরণ আর বকেয়া আদায় করতে জোরদার অভিযান পরিচালনা করবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এবার বকেয়া আদায় করতে ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে বাসা বা স্থাপনার আসবাবপত্র জব্দ করে নিলামে বিক্রয়ের মাধ্যমে বকেয়া পৌর কর, করপোরেশনের মালিকানাধীন দোকানের ভাড়া ও ট্রেড লাইসেন্স ফি সমন্বয় করা হবে।
ডিএসসিসির রাজস্ব আয়ের বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ৫৪৬ কোটি টাকা। ২০২৪–২৫ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা। কিন্তু জানুয়ারিতে এ পর্যন্ত আদায় হয়েছে মাত্র ৪৯৮ কোটি টাকা। এ অর্থবছরে গত অর্থবছরের তুলনায় ৪৮ কোটি টাকা আদায় কম।
ডিএসসিসি সূত্রে আরও জানা যায়, করপোরেশন রাজস্ব আদায় বাড়াতে ঈদুল ফিতরের পরে লিফলেট বিতরণ এবং বকেয়া আদায়ে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরওপড়ুন<<>>অভিষেকেই জাত চেনালেন হামজা, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্র
করপোরেশনের লিফলেটে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন একটি স্ব-শাসিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান নগরবাসী কর্তৃক প্রদেয় পৌরকর, দোকান ভাড়া, ট্রেড লাইসেন্স এবং অন্যান্য ফি-এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে।
এতে আরও বলা হয়েছে, করদাতাদের প্রদেয় কর বকেয়া থাকলে নগরের উন্নয়নসহ দৈনন্দিন পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হয়। এ লক্ষ্যে ডিএসসিসির সকল ধরনের বকেয়া ও হাল কর আদায়ে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে বকেয়া কর আদায়ের জন্য ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে বাসা বা স্থাপনার আসবাবপত্র জব্দ করে নিলামে বিক্রয়ের মাধ্যমে বকেয়া পৌরকর, করপোরেশনের মালিকানাধীন দোকানের ভাড়া ও ট্রেড লাইসেন্স ফি সমন্বয় করা হবে।
সেজন্য নগরবাসীকে দ্রুত বকেয়া ও হাল সনের পৌরকর, দোকান ভাড়া ও ট্রেড লাইসেন্স ফি পরিশোধ করে নগর উন্নয়নে সহযোগিতা করার আহবান জানানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গত ৫ আগস্টের পর রাজস্ব আদায়ে কিছুটা ভাটা পরেছে। আবার অনেকের দীর্ঘদিনের হোল্ডিং ট্যাক্স, পৌরকর, ট্রেড লাইসেন্সের ভাড়া বকেয়া। তাই বকেয়া রাজস্ব আদায়ে করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রথমে লিফলেট বিতরণ করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে। এর সঙ্গে রাজস্ব উত্তোলনে জোরদার অভিযানে ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে সম্পত্তি নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করে পৌরকর সমন্বয় করা হবে।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।