
ছবি: আপন দেশ
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে শেষ কর্মদিবস ছিলো আজ। কর্মঘণ্টা শেষ হতে না হতেই নাড়ির টানে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে আপন ঠিকানায় ছুটছেন নগরবাসী। এর ফলে তীব্র যানজটে আচ্ছন্ন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক। ভোগান্তিতেও পড়েছেন দিনের কর্ম শেষে গন্তব্যগামী মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে অফিসের কর্মঘণ্টা শেষে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটের এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর মহাখালী, রামপুরা, হাতিরঝিল, বাড্ডা, গুলশান, বনানীসহ বিভিন্ন স্থানে যানজটের এ চিত্র দেখা যায়।
এছাড়া নীলক্ষেত নিউমার্কেট এলাকা, এল্যিফেন্ট রোড, সায়েন্স ল্যাব, কলাবাগান, ধানমন্ডি, আড়ং, কলেজগেট শিশুমেলা শ্যামলী, মৎস্য ভবন এলাকা, শাহবাগ এলাকা, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, তেজগাঁও, বিজয় সরণি, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ বিভিন্ন স্থানেও দেখা গেছে, যানজটের চিত্র।
আরওপড়ুন<<>>ঢাকাসহ তিন বিভাগীয় শহরে ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ ১১ এপ্রিল
পাশাপাশি গাড়ির জন্য অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় যাত্রীদের। পায়ে হেঁটে চলাচল করতে ও কিছু কিছু গণপরিবহনে যাত্রীর চাপও দেখা গেছে। একই সঙ্গে যানজটে গাড়ি থেকে অনেককে নেমে হেঁটে যেতেও দেখা গেছে।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় কথা হয় রাসেল নামে এক যুবকের সঙ্গে। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অফিস শেষে সরাসরি গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। রাসেল বলেন, বাসা থেকে অফিসে আসার সময় ব্যাগ নিয়ে এসেছি। আগে থেকেই টিকিট কাটা ছিল। অফিস শেষে গাড়ি। কিন্তু যে যানজট এখনও গাড়ি এসে পৌঁছেনি। কখন আসবে সেটাও বলতে পারি না। একই অভিযোগ করেন অফিস শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে কাউন্টারে বসে থাকা একাধিক যাত্রী।
এদিকে মিরপুরগামী যাত্রী মেহেদী হাসান বলেন, রাস্তায় যে জ্যাম নতুন বাজার হতে বাড্ডা আসতেই আধা ঘণ্টা লেগেছে। এভাবে জ্যাম থাকলে ইফতারের আগে বাসায় যেতে পারবো না।
গাড়ির জন্য বাড্ডা লিংক রোডে দাঁড়িয়ে আছেন হামিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, অধিকাংশ গাড়ি যানজটে পড়ে আছে। দীর্ঘক্ষণ পরপর যে গাড়িগুলো আসছে সেগুলোতেও ভিড়।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।