Apan Desh | আপন দেশ

পিলখানায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:২০, ৬ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১৩:০২, ৬ এপ্রিল ২০২৫

পিলখানায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান

পিলখানার সামনে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে পিলখানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। কর্মসূচি ঘিরে পিলখানার সামনে জিগাতলা বিজিবি ৪ নং গেট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 

রোববার (০৬এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আন্দোলনরত সাবেক বিডিআর সদস্যরা জিগাতলার আশপাশের অবস্থা নেন। তাদের আন্দোলন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্য।

ধানমন্ডি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিজিবি হেডকোয়ার্টারের ৪ নং গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে আসাদের অবস্থান না নিতে অনুরোধ জানাতে দেখা যায়।

চাকরিচ্যুত শতাধিক বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তাদের পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য, বিজিবি ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে হয়েছে রায়টকার, জলকামান। 

আন্দোলনে অংশ নেয়া তারেক আজিজ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি আহবান করেছি। আমাদের দাবি একটাই— ক্ষতিপূরণসহ আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া হোক। আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা বা হাঙ্গামা করতে এখানে আসিনি, দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। 

আরওপড়ুন<<>>‘আরও একটি মুসলমানবিরোধী পদক্ষেপ মোদি সরকারের’

এর আগে শনিবার (০৫এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’। রোববার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় তারা।  সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলমসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের শিকার চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। তদন্ত কমিশনের প্রজ্ঞাপন থেকে উল্লিখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ ও কার্যপরিধি–২–এর (ঙ) নম্বর ধারা প্রত্যাহার করতে হবে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কমিশনকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডিত নিরপরাধ কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

ফয়জুল আলম বলেন, চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যরা গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সময় মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ একাধিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছেন। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের একটি প্রতিনিধিদলকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের সব যুক্তিসম্মত সমস্যার সমাধান ১৫ মার্চের মধ্যে করার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে আশ্বাস প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণ করা হয়নি। তারা নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তারা মনে করেন, যৌক্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে ন্যায্য অধিকার ও দাবি আদায় করা সম্ভব হবে। এ জন্য তারা ছয়টি নতুন কর্মসূচি দিয়েছেন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়