
হলুদ ট্যাক্সিক্যাব।
রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরে কয়েক বছর আগে জনপ্রিয় হওয়া হলুদ ট্যাক্সিক্যাব এখন উধাও হয়ে গেছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি দিয়ে এ সেবা চালু করেছিল দুটি কোম্পানি।
ওই ট্যাক্সিক্যাব-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালের পর হলুদ ট্যাক্সিক্যাবের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ার চালুর পর এ সেবা ভাড়ার ব্যবধানের কারণে প্রতিযোগিতাও করতে পারছে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সূত্র বলছে, দুটি কোম্পানি সড়কে যে ৪২৫টি হলুদ ট্যাক্সিক্যাব নামিয়েছিল, সেগুলোর ৪০০টির ইকোনমিক লাইফ শেষ হয়ে গেছে। একটি সূত্র বলেছে, ট্যাক্সিক্যাব হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়া গাড়িগুলো রেজিস্ট্রেশন বদলে ব্যক্তিগত গাড়িতে রূপান্তর হয়ে সড়কে চলছে।
বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন,‘দুটি কোম্পানিকে ট্যাক্সিক্যাব পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সেসব ট্যাক্সিক্যাবের ইকোনমিক লাইফ শেষ হয়ে গেছে, সেগুলো আর সড়কের চলাচল করে না। তবে আবার ট্যাক্সিক্যাব সেবা চালুর পরিকল্পনা আমাদের আছে।
বিআরটিএর সূত্র জানায়, ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস পরিচালনার জন্য তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোং লিমিটেড এবং আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে মোট এক হাজার ৩০০ গাড়ি আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠান দুটি হলুদ ওই ট্যাক্সিক্যাব আমদানি করে। সব মিলিয়ে তারা সড়কে ৪২৫টি ক্যাব নামাতে পেরেছিল। এগুলোর মধ্যে তমার ছিল ২৫০টি। যাত্রীরা মোবাইলে কল দিয়েও এ ক্যাব ভাড়া করতে পারতেন। এ ট্যাক্সিক্যাব বেশি চলত ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিমানবন্দর এলাকায়। ভাড়া নির্ধারিত থাকায় যাত্রী হয়রানির অভিযোগ তেমন পাওয়া যায়নি।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।