Apan Desh | আপন দেশ

আজ অন্যরকম এক বাংলাদেশ দেখবে বিশ্ব

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ১২ এপ্রিল ২০২৫

আজ অন্যরকম এক বাংলাদেশ দেখবে বিশ্ব

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে সৃষ্টি হতে যাচ্ছে এক অনন্য ইতিহাস। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়াতে দল, মত, ধর্ম, পেশা ভুলে সবাই এক কাতারে আসছেন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) আয়োজন করা হয়েছে “মার্চ ফর গাজা” নামে এক সর্বদলীয় গণজমায়েতের। আয়োজন করেছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া এ সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শাহবাগ হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে।

অনুষ্ঠানে কোনো দলীয় ব্যানার থাকবে না। সবার পরিচয়—আমরা মাজলুমের পক্ষে।

গণজমায়েতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আবদুল মালেক। অংশ নিচ্ছেন বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী, জাতীয় ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, শায়েখ আব্দুল্লাহ, বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী, ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ জনগণ।

আজহারী এক বিবৃতিতে বলেন, এ গণহত্যা প্রতিরোধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। ইনশাআল্লাহ আমি নিজেও সমাবেশে থাকব। সবাইকে আহবান জানাই—দলে দলে যোগ দিন।

আরও পড়ুন>>>‘মার্চ ফর গাজা’ বিকেলে, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

আয়োজক সংগঠনের ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তা দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান , এছাড়াও বহু শিক্ষক, ইসলামি চিন্তাবিদ ও খেলোয়াড় একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

এ আয়োজন যেন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের এক নতুন পরিচয়—একটি মানবিক, ঐক্যবদ্ধ জাতি যারা নির্যাতনের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পক্ষে।

গত ৭ এপ্রিলও দেশজুড়ে ফিলিস্তিনের গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল রাজপথ। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে নিহত হয় ১ হাজার ১৩৯ জন। জবাবে ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে। নিহত হয় হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার মতো রাষ্ট্রগুলো একে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

ইসরায়েলি নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে মুসলিমবিশ্ব আজও অনেকটা নীরব। তবে বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষত তরুণ প্রজন্ম, সরব। সোশ্যাল মিডিয়ায়, রাজপথে, মসজিদে—সবখানে তারা বলছে, গাজার কান্না আমাদের কান্না।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়