ফাইল ছবি
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন প্রক্রিয়ার ধীরগতি দূর করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সারাদেশে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ চালু করেছে। এনআইডি সংশোধনে দ্রুততা আনতে জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে জানানো হয়, এখন থেকে ৬৪ জেলার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারবেন। এতদিন এ ক্ষমতা শুধু আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের ছিল।
তবে এখন থেকে প্রতিটি জেলার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারাও এ কাজ করতে পারবেন। যাতে সেবা আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে দেয়া সম্ভব হয়। ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে এনআইডি সংশোধনের আবেদন সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এসব অঞ্চলের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তাদেরও সংশোধন কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়- এ ছাড়া বৃহত্তর ১৯টি সিনিয়র জেলার ‘খ’ ক্যাটাগরির অনিষ্পন্ন আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও সংশ্লিষ্ট ‘খ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অঞ্চলের সব অনিষ্পন্ন আবেদন আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।
অফিস আদেশে আরও জানানো হয়, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদনগুলো নিষ্পত্তিসহ বিশেষ কার্যক্রম (ক্র্যাশ প্রোগ্রাম) সফল করতে প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও তত্ত্বাবধান করবেন বলেও অফিস আদেশে জানানো হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিশেষ কার্যক্রমের (ক্রাশ প্রোগ্রাম) সমন্বয় ও তত্ত্বাবধান করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অবশ্যই পুরাতন আবেদনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করবেন। সেসঙ্গে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে পরিচালক (পরিচালনা) বিশেষ কার্যক্রম (ক্রাশ প্রোগ্রাম) সামগ্রিক বিষয় মনিটরিং ও প্রতি ১৫ দিন অন্তর অন্তর এ কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন এনআইডি মহাপরিচালককে অবগত করবেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়ায় ধীরগতির অভিযোগ থাকায় নাগরিকদের হয়রানি এড়াতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা অফিসাররা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করে দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবেন। প্রক্রিয়াটি সহজ করতে অনলাইন আবেদন যাচাই, সরল নথি যাচাই ও মাঠপর্যায়ে সরেজমিন যাচাই কার্যক্রমকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রমের আওতায় আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সংশোধন আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে জেলা অফিসারদের বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
