ফাইল ছবি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঘূর্ণিঝড় মোখা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। সোমবার (১৫ মে) সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় যখন বাংলাদেশ অতিক্রম করে সেই সময় সেইন্টমার্টিনে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার, কক্সবাজার ও টেকনাফে ছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পেরেছিলাম। এ কারণে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, সম্পদের ক্ষতির মধ্যে অনেক গাছপালা পড়ে গেছে। টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিনে ২ হাজারের মতো ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ১০ হাজারের উপর বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছচাপা পড়ে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তর মহা বিপৎসংকেত ১০ থেকে ৩ এ দেওয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ যার যার বাড়ি ফিরে গেছে। জেলা প্রশাসন তাদের দেখভাল করছে। যাদের খাবার নাই তাদের খাবার দিচ্ছে। যাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের জন্য টিন ও নগদ টাকা পাঠানোর জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। সচিব মহোদয়কে বলেছি উনি মাঠপর্যায় থেকে তালিকা চেয়েছেন। তালিকা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এছাড়া জেলাগুলোতেও মানবিক সহযোগিতা মজুত থাকে। একান্ত জরুরি যেগুলো, সেগুলো তারা সরবরাহ করে। তাদের কাছে ২শ বান্ডিল টিন, ১০ লাখ টাকা, ২শ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট খাবার থাকে। এখান থেকে তারা জরুরি প্রয়োজনগুলো মেটাতে পারবে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।