Apan Desh | আপন দেশ

‘ইসির ওপর সরকারের চাপ বা হস্তক্ষেপ কিছুই নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৫৯, ২৮ মে ২০২৩

আপডেট: ১৯:৫৮, ২৮ মে ২০২৩

‘ইসির ওপর সরকারের চাপ বা হস্তক্ষেপ কিছুই নেই’

ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের কোনো ধরনের চাপও নেই, হস্তক্ষেপও নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিদেশীরা কি চাইলো তাতে কমিশনের কিছু যায় আসে না। এই চাওয়া নির্বাচনের কাছে গুরুত্বহীন। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও মুক্ত। ভিসা নীতির সঙ্গে গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পর্কিত নয়। নির্বাচনে আইন মেনে না চললে তিনি যেই হোন না কেন ইসি ব্যবস্থা নিবে। যোগ করেন তিনি

রোববার (২৮ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা সমালোচনা করেন তারা সবসময়ই সমালোচনা করেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হয় ৪৫ দিন আগে থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি কি হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। আমরা পড়ারও সুযোগ পাইনি, নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ভিসা নীতির সঙ্গে গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পর্কিত নয়। নির্বাচনে আইন মেনে না চললে তিনি যেই হোন না কেন ইসি ব্যবস্থা নিবে।

ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনে যারা আসবেন তাদের সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটাররাও যেন ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। গাজীপুরের মতোই আসন্ন সব নির্বাচন সুষ্ঠু করবে ইসি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করার সবকিছুই করা হবে।

কমিশন মুক্ত স্বাধীন দাবি করে তিনি আরও বলেন, গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন, সরকারসহ সব পক্ষের ভাবমূর্তি ভালো হয়েছে। বিদেশিরা কী চাইলো সেটা নির্বাচন কমিশনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কাজ করে ও ভবিষ্যতেও করবে। নির্বাচন কমিশন মুক্ত ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, এজন্য সরকারের কাছ থেকে কোন চাপ কখনোই আসেনি বলে উল্লেখ করেন আলমগীর।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে নাই। তাই আমরা বলতে পারি না আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু আমরা সব দলকে বলবো নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য।

ইভিএমে ভোটের ফলাফল বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বড় সিটি কর্পোরেশন, এছাড়া অনেক প্রার্থী ছিলেন, তাই নির্বাচনে ফলাফল দিতে সময় লেগেছে। তবে সংসদ নির্বাচনে ফলাফল দিতে এতো সময় লাগবে না। কারণ, সংসদ নির্বাচনে কোন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী থাকবে না। এছাড়া প্রায় চারটা সংসদীয় আসনের সমান গাজীপুর সিটি করপোরেশন। বড় হওয়াতেই মূলত ফলাফল প্রকাশে সময় বেশি লেগেছে।

আপন দেশ/এবি 

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়