আহসান হাবিব
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের চেয়ে খুলনা ও বরিশালের নির্বাচন ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। রোববার (১১ জুন) সাংবাদিকদের কাছে লিখিত এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে মো. আহসান হাবিব খান বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনে বিধি-বিধান প্রতিপালনে আমাদের অবস্থান কঠোর ছিল, খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রতিটি পদক্ষেপেই আমরা সুতীক্ষ্ণ নজর রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। ভোটের দিনও আমরা সরাসরি সিসি ক্যামেরায় এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করব।
তিনি বলেন, নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমাদের নির্দেশনা আছে, যা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা শতভাগ পালনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আমাদের বার্তা স্পষ্ট ছিল-আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করেছি। নির্বাচন প্রচারণায় অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলা করলে কোনো ধরনের ছাড় দেই নাই। বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধের জন্য চেকপোস্ট করা হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন) এই দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ করতে বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাঠে নামানো হয়েছে। রয়েছে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও।
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাপার শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আর কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে পাঁচলাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
আর বরিশাল সিটির মোট ভোটার হচ্ছে দুইলাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া কাউন্সিলর পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন ১৬০ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ১১৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ৪২ জন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।