ছবি : আপন দেশ
খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ঢাকার নির্বাচন ভবন থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ পর্যবেক্ষণ করছেন। এ ছাড়া সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনও।
সকালের দিকে অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর ছিল না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটছে হামলার ঘটনা। স্ক্রীনে দেখা চিত্রমতে, ইসির চোখে বরিশালে বিরাজ করছে উত্তপ্ত অবস্থা। যে কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বরিশালে র্যাব-বিজিবিসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টায় দুই সিটির ৪১৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
আমাদের ব্যুরো, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য চিত্র:
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২ লাখ ৭৬হাজার ২৯৪ জন। খুলনা সিটি করপোরেশনে মোট ৩১টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ১৭৩২টি। ৩২১০ টি ক্যামেরার মাধ্যমে খুলনা সিটির নির্বাচন মনিটরিং করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন <> ভোটারের মুচলেকা-জরিমানা
ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত কয়েকজনকে দণ্ড দিয়েছেন। বড় ধরনের কোন অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মোট ৩০ ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। ভোট কক্ষ ৮৯৪টি। বরিশাল সিটি নির্বাচন ১১৪৬টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন ৪৩টি কেন্দ্রে ৩৩১টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।
আরও জানুন <> হাত পাখার প্রার্থীর ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে নির্দেশ
২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সঙ্গে ২৩৫ টি সিসি ক্যামেরায় ২৮৭১টি ভোট কক্ষ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতি ডিসপ্লে দশ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেড করে এভাবে ৪৫৮টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে আর কেন্দ্র প্রতি দুটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ চলছে। বরিশালে হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিমের অভিযোগ, তার ওপর হামলা করেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা।
স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে সিসি ক্যামেরায় দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সবশেষ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা, গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হচ্ছে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।