Apan Desh | আপন দেশ

বৃষ্টিতে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, মহাসড়কের যানে ধীর গতি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ২৮ জুন ২০২৩

আপডেট: ১২:৩৬, ২৮ জুন ২০২৩

বৃষ্টিতে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, মহাসড়কের যানে ধীর গতি

ছবি: সংগৃহীত

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে এরই মধ্যে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। এ কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়ায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই এলাকায় থেমে থেমে গাড়ি চলছে।

বুধবার ( ২৮ জুন) ভোররাত ৪টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার থেকে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার ঘারিন্দা পর্যন্ত এই যানজটের সৃষ্টি হয়।

মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, সেতুর উপরে পরপর দুর্ঘটনা, গাড়ি বিকল হওয়া, দফায় দফায় টোল আদায় বন্ধ এবং চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। বিশেষ করে যারা বাস না পেয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপ যোগে বাড়ি ফিরছেন বৃষ্টির কারণে তারা বেশি বিপাকে পড়েছেন।

জানা যায়, বুধবার ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর সংঘর্ষ এবং এক পিকআপ গাড়ি বিকল হয়। পিকআপটি সরাতে এক ঘণ্টার উপর সময় লাগে। এতে ভোররাত ৪টা ১৫ থেকে ৪টা ৫৩ পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ।

এর আগেও কয়েকবার টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে যানজট শুরু হয় ওই মহাসড়কে।

খোলা ট্রাকে পরিবার নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন জাহিদ হোসেন নামের একজন। তিনি জানান, ‘বাস না পেয়ে ট্রাকে উঠেছি, কিন্তু বৃষ্টি বিপাকে ফেলেছে। এই বৃষ্টি হচ্ছে, এই হচ্ছে না। রাতে গাড়িতে উঠেছি কোনাবাড়ি থেকে, এখন সকাল ৭টা বাজে এলেঙ্গাতে আছি।’

এ প্রসঙ্গে বাসের চালকরা জানান, ঢাকা থেকে যানজট ঠেলে তারা এসেছেন। মহাসড়কে চার লেন হলেও এলেঙ্গার যানজট মহাসড়কে গিয়ে ঠেকেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসান বলেন, ‘সেতুর উপর ও মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণে যানজট শুরু হয়। তবে বর্তমানে গাড়ির টান শুরু হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

ট্রেনেও শিডিউল বিপর্যয়

এদিকে মহাসড়কের পাশাপাশি ট্রেনেও খুব একটা স্বস্তি নেই এবার। বগি কিংবা ছাদ- গতকাল খালি ছিল না কোথাও। ঠেসে ভরে ঈদযাত্রায় চলেছে ট্রেন। আজ সকালে বৃষ্টি থাকার পরও ভেতরে পূর্ণ ছিল ট্রেন। পলিথিনের মোড়ক গায়ে চাপিয়ে মানুষকে অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে ঝুঁকি নিয়েই ছাদে উঠতে দেখা গেছে। কিন্তু রেল কতৃপক্ষকে এ বিষয়ে নজর দিতে দেখা যায়নি।

রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা যায়, সকালে রাজশাহীর ধুমকেতু এক্সপ্রেস এবং নীলফামারীর চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেন নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সকাল ৮টার দিকে স্টেশন ছেড়েছে। গতকালও এই দুটি ট্রেন বিলম্বে যাত্রা করেছিল। এছাড়া চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাওয়া ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়েই যাত্রা করবে বলে জানানো হয়েছে রেলওয়ের পক্ষ থেকে।

যাত্রীরা বলছেন , প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করার যে আনন্দ, তার কাছে এমন ভোগান্তি কিছু্ই না। শিডিউল বিপর্যয় ঘটলেও প্রিয়জনের সানিধ্য পাওয়ার পর সব মাটি হয়ে যাবে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়