ছবি: আপন দেশ
ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন পেশাজীবীরা। পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফেরা কর্মব্যস্ত মানুষগুলোর অনেকেই বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের অনেককে ভিজেই বিভিন্ন পরিবহনে ওঠানামা করতে দেখা যায়। বিশেষ করে শনিবার (১ জুলাই) বিকেলের পর যারা ঢাকায় প্রবেশ করেছেন তাদের এ দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের মতে কাল রোববার বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে আজ (শনিবার) সকালে বৃষ্টির মাত্রা কম ছিল। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। দুপুরের পর আকাশ অন্ধকার করে নামে মুষলধারে বৃষ্টি। টানা বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে রাজধানীর অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়কও। তবে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় জলাবদ্ধতার কারণে যানজট দেখা দেয়নি।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড এখনো পানির নিচে। জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ধানমন্ডি ৭ নম্বর, মিরপুর-১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশে। মগবাজারের ওয়ারলেছ রেলগেট থেকে সোনালীবাগ, মধুবাগসহ আশপাশের সড়কে পানি উঠেছে। এছাড়া তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কের কিছু স্থানে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন <<>> দেশের ৮ বিভাগেই ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
সিএনজি অটোরিকশার চালক ওযাহিদ মিয়া বলেন, বৃষ্টি শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ধানমন্ডি, শুকরাবাদের কিছু সড়কে পানি জমে যায়। এর মধ্যে গাড়িতে যাত্রী নিয়ে আসার সময় ইঞ্জিন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। পরে যাত্রী নামিয়ে কিছুদূর গাড়ি ঠেলে নিয়ে আসতে হয়েছে। পরে গাড়ি স্টার্ট নিয়েছে। হাতিরঝিল হয়ে গুলশানের দিকে আসার সময়ও অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখেছি।
অন্যদিকে পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোডের জলাবদ্ধতার বর্ণনা দিয়ে আরেক পাঠাও চালক খোরশেদ আলম বলেন, একটা ট্রিপ নিয়ে পুরান ঢাকায় গিয়েছিলাম। ফেরার পথে পুরো সড়ক অলিগলিতে জলাবদ্ধতা দেখেছি। কোথাও কোথাও আবার হাঁটু পানি জমেছে।
এদিকে ঈদের টানা পাঁচদিনের সরকারি ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন নানা পেশাজীবীরা। তাদের মধ্যে অধিকাংশই চাকরিজীবী। পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফেরা কর্মব্যস্ত মানুষগুলোর অনেকেই বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের অনেককে ভিজেই বিভিন্ন পরিবহনে ওঠানামা করতে দেখা যায়।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকার সায়েদাবাদে পরিবার নিয়ে পৌঁছানো আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকায় পৌঁছানোর আগেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। ভিজতে ভিজতেই বাস থেকে নেমেছি।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে শ্যামলী পরিবহনের একটি কাউন্টারের কর্মী ইসমাইল হোসেন বলেন, আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া খুব ভালো ছিল। দুপুরের আগে যারা ঢাকায় এসেছেন তারা বেশ ভালোভাবেই বাসায় পৌঁছেছেন। বৃষ্টিও ছিল না। কিন্তু বিকেলে যাত্রীদের অনেকে বাস থেকে নেমেই বৃষ্টির কবলে পড়েছেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।