Apan Desh | আপন দেশ

কাঁচা মরিচ কেজি আমদানি ১৬ টাকা, বিক্রি ৩০০, রুখবে কে?

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ২ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ১৯:১৯, ২ জুলাই ২০২৩

কাঁচা মরিচ কেজি আমদানি ১৬ টাকা, বিক্রি ৩০০, রুখবে কে?

ছবি : আপন দেশ

দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে চলছে হৈ চৈ। কোরবানির ক’দিন আগে দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও ঈদের পরে বাড়ে বিদ্যুৎ গতিতে। সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে চলে গেছে এই পণ্যটি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। টনে টনে কাঁচা মরিচ আনা হয়েছে, হচ্ছে। আমদানি ২১ টাকা, কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ টাকা। ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে সৃষ্ট ফাঁরাক রুখবে কে? 

কমলো কতটা?

ভারত থেকে কাঁচা মরিচ ২১ টাকা কেজি দরে দেশে আমদানি করলেও দাম কামানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এক সপ্তাহ আগে কাঁচা মরিচের দাম ২৫০ টাকা থাকলেও এখন এর কেজি ৪৮০ থেকে ৬০০ টাকা। ভারত থেকে ৪৪টি প্রতিষ্ঠানকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। গত ২৬ জুন মরিচ আমদানি করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৬৭১ কেজি। তাও আমদানি করেছে মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান। 

ভারত থেকে যে তিনটি প্রতিষ্ঠান কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে তার প্রতি কেজির খরচ পড়েছে ১৯ সেন্ট বা ২১ টাকা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলফাজউদ্দিন অ্যান্ড সন্স প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে ২৪ সেন্ট বা ২৬ টাকা কেজি দরে। দিনাজপুরের হাকিমপুরের সততা বাণিজ্যালয়ের খরচ পড়েছে ২০ সেন্ট বা ২২ টাকা এবং বগুড়ার বি কে ট্রেডার্সের প্রতি কেজির খরচ পড়েছে ১৫ সেন্ট বা ১৬ টাকা।

আমদানি খরচের সঙ্গে কাস্টমস শুল্ক ও কর যোগ করলে প্রতি কেজির দাম দাঁড়ায় ৫৩ টাকা। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তর পরিবহন খরচ প্রতি কেজি ১০ টাকা ধরলে তা হয় ৬৩ টাকা। তিনটি হাত ঘুরে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে মুনাফা ধরলে আরও যোগ হয় ৩০ টাকা। মুনাফা আরও ৭ টাকা বাড়িয়ে ধরলেও কেজিতে তা ১০০ টাকার বেশি হয় না।

শনিবার বগুড়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নতুন রোটারি বর্ষ উপলক্ষে বিভাগীয় শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি ছিলেন। এ সময় কাঁচা মরিচের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন। কিন্তু তিন এ ব্যাপারে কোনো উত্তর না দিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কথা বলেন।

 আজকের বাজারদর

আমাদের বগুড়া প্রতিনিধি পাঠানো তথ্য: বগুড়া শহরের রাজাবাজার ও ফতেহআলী বাজার ঘুরে দেখা যায়, রোববার সকালে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকায়। বেলা ১১টার পর মহাস্থান হাট থেকে মরিচ আসার পর দাম কমে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি শুরু হয়। মহাস্থান হাট থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বগুড়া শহরে আড়তদারদের কাছে ২৮০ টাকায় বিক্রি করেন। হাতঘুরে সেই মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরে অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে কাঁচা মরিচের দাম। শনিবার  মরিচ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। রোববার বিকেল পর্যন্ত জেলার বাজারগুলোতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে।  

ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংক মোড় এলাকার মোহাম্মদীয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক দাউদ আকন্দ বলেন, হোটেলের জন্য শনিবার ৭০০ টাকা কেজি দরে মরিচ কিনতে হয়েছে। সেই মরিচ আজ বিকেলে নিউমার্কেট ও চক বাজার এলাকায় ৪০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়