ফাইল ছবি
একাধিক গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করেছেন উপসচিব মেহেদী হাসান। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে গুরুদণ্ড দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তাকে বরখাস্ত করে (সরকারি চাকরির সর্বোচ্চতম শাস্তি) প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের ২১ ব্যাচের এ কর্মকর্তা চাকরী সংক্রান্ত কোনো সুযোগ–সুবিধা পাবেন না।
এর আগে মেহেদী হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থানকালে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দূতাবাসের সেইফ হোমে আশ্রিত কয়েকজন গৃহকর্মীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের তদন্তে তা প্রমাণিত হয়।
আরও পড়ুন: জমি ফ্ল্যাট নিবন্ধনে দ্বিগুণ কর গুনতে হবে
এরপর মেহেদী হাসানকে ওই দূতাবাস থেকে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রত্যাহার করা হয় এবং ৮ ফেব্রুয়ারি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২১ মার্চ অভিযোগ বিবরণী জারির মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। ব্যক্তিগত শুনানি এবং একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি তিনি। তাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে গুরুদণ্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) পরামর্শ চায়। পিএসসি ও একমত পোষণ করে। তা রাষ্ট্রপতির মতামতের জন্য পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।