মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ নিয়ে বিদেশিরা কাউকে কোনো ধরনের তাগাদা দেয়নি। আর বিএনপি তো সংলাপের কথা বলছে না। কারও প্রত্যাশা কিংবা প্রেসকিপশনে আমাদের দেশ চলবে না। আমাদের দেশ চলবে আমাদের সংবিধান ও জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী।
রোববার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) ও মার্কিন প্রতিনিধিরা। এর প্রেক্ষিতে বিদেশিদের মধ্যস্থতায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক সংলাপ হবে কিনা তা নিয়ে সর্বমহলে আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন, সংলাপ নিয়ে বিদেশিরা আমাদের কাউকে কোনো তাগাদা দেয়নি। সংলাপের কথা এক-এগারোর কুশীলবরা ও অন্য কিছু ব্যক্তি বিশেষ বলছেন। বিএনপিও তো সংলাপের কথা বলছে না। তারা তো বলছে না যে আমাদের সঙ্গে সংলাপ করতে চান। এটা কারা বলছে, সেটা আপনারা কিছুটা জানেন, আমরাও জানি।
তিনি বলেন, গতকাল (১৫ জুলাই)) ইইউর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে তারা দেশের আইন ও সংবিধানের আলোকে দেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চেয়েছেন। সেই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে এসেছেন তারা।
>>> আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের নিশ্চয়তা চেয়েছে ইইউ: ওবায়দুল কাদের
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সত্যিকার অর্থে এক-এগারোর পরিবর্তনের পর যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল, তারা দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতাগ্রহণ করেন। কিন্তু নিজেরাই দুর্নীতি ও দুঃশাসনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো কাউকে সেই ধরনের সরকার গঠনের সুযোগ করে দেবে না। এটি সার্বভৌম বাংলাদেশ, আমাদের দেশ চলবে আমাদের সংবিধান ও জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী। অন্য কারও প্রত্যাশা কিংবা প্রেসকিপশনে আমাদের দেশ চলবে না।
শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ব্যবসায়ীরা, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশে শান্তি-স্থিতিশীলতা চাইবে সেটিই স্বাভাবিক। তাদের বক্তব্যে সেটি উঠে এসেছে। তারা জানে এবং বোঝে যে সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। দেশের অগ্রগতিও অব্যাহত থাকবে। সেটি অনুধাবন করতে পেরে শীর্ষ ব্যবসায়ীরা শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান বলে দৃঢ়ভাবে ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে অপর এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) যখন রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয় তখন সরকারি দল হিসেবে আমাদের একটা বাড়তি দায়িত্ব আছে। সরকারি দলের দায়িত্ব হলো দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, আগুন সন্ত্রাসীরা যাতে মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে না পারে তা নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যানারে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় সেক্ষেত্রে জনগণের সঙ্গে থাকা আমাদের দায়িত্ব।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।