ছবি: আপন দেশ
টিএলআর কর্মচারীদের ধর্মঘট ও রেললাইন অবরোধের কারণে রেলওয়ের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। আপ এবং ডাউনে চলাচলকারী এক ডজন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রায় ৫-৬ ঘণ্টা বিলম্ব ঘটছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে কোনো ট্রেন কমলা প্রবেশ বা ছেড়ে যেতে পারেনি।
কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রেনের সিডিউল বির্যয়ের কারণে হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। সকল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে কোনো ট্রেন কমলাপুরে প্রবেশ করতে পারেনি। একইভাবে ডাউনে চলাচলকারী ট্রেনগুলোও ছেড়ে যেতে পারেনি।
জানা গেছে, একতা, জয়ন্তিকা ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন দেরিতে কমলাপুর ছেড়ে গেছে। সকাল ১০টা ১০ মিনিটের একতা ছেড়ে যায়। কিন্তু রোববার ৫ ঘণ্টা বিলম্বে বিকেল ৩টার দিকে ছেড়ে গেছে।
সিলেটগামী কালনি এক্সপ্রেস বিকেল ৩টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এই ট্রেনটি ৫ টার পর প্ল্যাটফর্মে এসেছে।
সহকারী স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, ধারাবাহিকভাবে প্রথমদিকে ট্রেনগুলো আগে ছাড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে করে দুপুরের ট্রেন কমলাপুর থেকে ৫-৬ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যাবে।
একইভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী রাজশাহী কমিউটার প্ল্যাটফর্মে এসে পৌঁছেনি। এই ট্রেনটি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ৭ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যাবার কথা রয়েছে।
>>>আরও পড়ুন: আলোচনার আশ্বাসে রেলশ্রমিকদের অবরোধ প্রত্যাহার
বাংলাদেশ রেলওয়ের কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জানান, কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে কিছুটা সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এখান থেকে ৫টি ট্রেন যথা সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। তেমনি বাইরে থেকে ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন সময়মতো ঢুকতে পারেনি।
আপন দেশকে তিনি জানান, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। শিডিউল বিপর্যয় ঘটে গেছে। এটা দ্রুত ঠিক করা সম্ভব হবে না। ঢাকামুখী ৬টি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে আছে। এসব ট্রেন দেরিতে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। তবে কোনো ট্রেনে যাত্রা বাতিল করা হয়নি। যারা বিলম্বে যাত্রা করতে চায় না, তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ যাত্রী বিলম্বে গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস, চট্টগ্রামগামী উপকূল এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস এবং জামালপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন ৬ ঘণ্টা বিলম্বে কমলাপুর এসে পৌঁছায়। ট্রেনের সিডিউল মেইন্টেন করতে কমলাপুর স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা ডিআরএম, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা, স্টেশন ম্যানেজারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিডিউল তদারকি করতে দিনভর ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।