প্রতীকী ছবি
গত সাড়ে তিন বছরে সারাদেশে পানিতে ডুবে তিন হাজার ৮০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শুধু চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫১৬ জনের।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস’। দিবসটি ঘিরে পানিতে ডুবে মৃত্যুর প্রতিবেদন প্রকাশ করে গণমাধ্যম ও যোগাযোগবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সমষ্টি’।
২০২১ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পানিতে ডুবে মৃত্যুকে ‘নীরব মহামারি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতি বছর ২৫ জুলাই আন্তর্জাতিকভাবে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।
পানিতে ডুবে মৃত্যু ঠেকাতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছিল।
এদিকে ‘সমষ্টি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৭ জুলাই পর্যন্ত পানিতে ডুবে মোট তিন হাজার ৮০১ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে তিন হাজার ৩৬৩ জন শিশু (৮৮ শতাংশ), অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ বছরের কম। পারিবারিক সদস্যদের অগোচরে এসব শিশুরা বাড়ির কাছের জলাশয়ে গিয়ে মারা যান। পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি ২০২১ সালের আগস্টে ২১২ জন মারা যায়।
এদিকে চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে পানিতে ৫১৬ জন ডুবে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৫০৩ জনই শিশু (৯৭ শতাংশ)। এসব শিশুদের মধ্যে ২৭৩ জনের বয়স পাঁচ বছরের কম।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পানিতে ডুবে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে ৪০ জন, মার্চে ৬১, এপ্রিলে ১০৭, মে মাসে ৮৮, জুনে ৯৮ এবং জুলাই মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত ৯৬ জন পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।