ছবি : সংগৃহীত
বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, বিচারকদের দিয়ে সাজা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় কোনো সন্ত্রাসী দল নেই। তাদের আর ক্ষমতায় রাখা যাবে না বলে জানালেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার এলাকার শ্যামলী ক্লাব মাঠের পাশে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের এক দফা দাবিতে ১৮তম কর্মসূচি হিসেবে ‘কালো পতাকা মিছিল’ কর্মসূচি পূর্বে এ সমাবেশের আয়োজন হয়। কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
এতে আমীর খসরু বলেন, জঙ্গি খেলা শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। আওয়ামী লীগের জঙ্গি খেলা এখন কেউই বিশ্বাস করে না। আ.লীগ বলছে, বাংলাদেশে নাকি জঙ্গির উৎপাত বাড়ছে। আরে আওয়ামী লীগের থেকে বড় জঙ্গি বাংলাদেশে আর কিছু আছে? জঙ্গি শব্দের অর্থ হচ্ছে যারা জেলখানায় মানুষ হত্যা করে, যারা গুম খুনের রাজনীতি করে তারা হচ্ছে জঙ্গি। অর্থাৎ বিশ্বের মধ্যে আওয়ামী লীগের মতন এত বড় সন্ত্রাসী সংগঠন আর কোথাও নাই।
আরও পড়ুন: কোনো লোটেরা যেন আবার ক্ষমতায় না আসতে পারে: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, আগামীতে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার প্রশাসন এবং প্রশাসন এবং বিচারকদের দিয়ে রেজিম তৈরি করেছে। দেশের মানুষ আগেই ধরে ফেলেছে আওয়ামী লীগের মিথ্যাচারের রাজনীতি আর চলবে না।
প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, জনগণের টাকা খরচ করে পরিবার দলবল নিয়ে আফ্রিকায় গেছেন ব্রিকসে জয়েন করতে। যেই কাজে গেছেন সেই কাজ হয় নাই। সেখানে বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে নৌকায় ভোট দিতে বলেছেন। কোথায় কি বলে! ভোট হচ্ছে বাংলাদেশে, আর তিনি ভোট চাচ্ছেন বাইরে গিয়ে। আর বিএনপিকে গালিগালাজ করছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কি যেতে হয় বিএনপিকে গালি দিতে জনগণের করের টাকা খরচ করে? সেটা তো এখানেই করতে পারেন। সুতরাং প্রত্যেক জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাত হবেন তিনি মানুষের ধারে ধারে গিয়ে ঘুরে ঘুরে জনপ্রিয়তা পাবেন না। তাই যেখানেই দাওয়াত পান সেখানেই দৌড় দেন আগে পিছে তাকান না।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে খসরু বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছেন জনগণের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকা খরচ করে, ব্রিকসের মেম্বার হতে, তা পারেন নাই। তৃতীয় কোনো দেশে গিয়ে বাইলেটারাল মিটিং হয় না। সেখানে অন্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মিটিং হয় না।
দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে আমীর খসরু বলেন, মানুষের প্রতিপক্ষ এখন আওয়ামী লীগ। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে কেউ জয়ী হতে পারে নাই। তাই বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ কেউ হবেন না। পুলিশ ভাইয়েরা হবেন না। র্যাব ভাইয়েরা হবেন না। বিজিবি হবেন না, আনসার হবেন না৷ সরকারি কর্মকর্তা হবেন না। বিচারকরা হবেন না। সবার কাছে বার্তা, দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন। সিদ্ধান্ত নেন, জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেবেন না৷ আর নিলে সেই দায় দ্বায়িত্ব আপনাদের।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঝড় তুফান বিএনপিকে রুখতে পারবে না। আন্দোলন চলবেই। আন্দোলনের মাধ্যমেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করা হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের মিছিলের সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, মেজল (অব:) কামরুল ইসলাম, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, আতাউর রহমান ঢালী, এস এম জহুরুল ইসলাম শাহজাহাদা মিয়া, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. মজিবর রহমান সারোয়ার, হাবিব উন-নবী খান সোহেল, হারুন অর রশিদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।