ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ব্রিটিশ শাসক ও পাকিস্তানিরা এদেশ থেকে যা লুট করেছে, এর চেয়ে বেশি লুট করেছে এ সরকার। এদের ভেতর দেশপ্রেম নেই।
মির্জা আব্বাস বলেন, দেশে তিনটি শিক্ষা রয়েছে, অশিক্ষা, কুশিক্ষা আর সুশিক্ষা। আজকে জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে কুশিক্ষিতরা বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে।
এ কুশিক্ষিতরা বিচারের প্রহসন করছে। তারা জেলখানায় বিরোধী নেতাকর্মীদের পিটিয়ে হত্যা করছে। এ কুশিক্ষিত লোকগুলো দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা দেশকে ভালোবাসে না, টাকা ভালোবাসে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এ কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।
ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ ও আনম সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এ কালো পতাকা মিছিলে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের চেয়ে বড় সন্ত্রাসী দল নেই: আমীর খসরু
মির্জা আব্বাস বলেন, ভোট ও বাকস্বাধীনতা জন্য পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যখন সংগ্রাম করেছি তখন বাঙালির বিরুদ্ধে গুলি চালাতো। লাঠিচার্জ করতো। তারাতো ছিল পাকিস্তানি পুলিশ। আজ একই দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। আজও গুলি চালানো হচ্ছে। আপনারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) কি বিদেশি পুলিশ? নিজ দেশের জনগণের ওপর গুলি চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দ্রব্যমূল্য, তেল গ্যাস ও বিদ্যুৎতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। সরকার কানে শুনে না। আজকে ডিমের দাম ১৫ টাকা। এদের দুর্নীতির কারণে টাকার মান কমে গেছে। যারা ব্যাংকে টাকা রেখেছেন তারা লাভের পরিবর্তে ১৪ শতাংশ টাকা কম পাবেন। আজকে বিদ্যুৎতের কার্ড থেকেও হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে লুটপাট। এ সরকারকে বিদায় করতে না পারলে দেশের মানুষ মারা যাবে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, বহির্বিশ্ব আজ দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। একটি দেশ বলছে এই সরকারকে আবার লাগবে। আমি বলতে চাই, সরকার নয়, দেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন। আজ এ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেশের জনগণ মানে না। বিনা ভোটের নির্বাচনের স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।