ছবি : আপন দেশ
বিএনপির কালো পতাকা মিছিলের সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, তাদের হাতে কালো পতাকা দেখে মনে প্রশ্ন হলো তাদের আবার কে মারা গেল? কারণ কালো পতাকা তো শোকের প্রতীক। আন্দোলনের পতাকা হয় লাল-সবুজ।
আওয়ামী লীগের এক সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন জমছে না। তাদের আন্দোলনে খড়া পড়েছে তাই তাদের নেতাদের গলা শুকিয়ে গেছে। আন্দোলনের মরাগাঙ্গে এখন আর ঢেউ নেই। তিনি বলেন, আন্দোলন কাকে বলে দেখবেন ১ তারিখে। তারুণ্য সমাবেশে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে। তাতে কালো পতাকা নয় আমরা দেখাবো বিজয়ের পতাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে শান্তি সমাবেশ করছি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলে খালেদা জিয়া দেশ চালাবেন, তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে আসবেন কই গেল? কিছু পোলাপান নিয়ে গরুর হাটে নাচানাচি করল। আবার পিকনিক করল, মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদেরকে অতিরিক্ত কাপড়-চোপড় নিয়ে ঢাকায় আসতে বললেন। ঢাকার প্রবেশমুখ বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করলেন। সেদিন আমান উল্লাহ আয়েশ দেখলাম। গয়েশ্বরকে নাকি হারুন সাহেব কিশোরগঞ্জের কুড়াল মাছের ঝোল খাইয়েছেন। খেতে খেতে দিশেহারা। আন্দোলনের নামে এই নাটক তাদের নেতাকর্মীরা আর চালাবেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বলেন। কেনো? দেশের শতকরা ৭০ মানুষ যাকে ভোট দিতে চায় সে কেনো বিদায় নেবে? বাংলাদেশের একনম্বর জনপ্রিয় সৎ নেতা শেখ হাসিনা। দক্ষ নেতা শেখ হাসিনা কোনো বিদায় নেবেন প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ ১৩ লাখ রোহিংগা আমাদের কাঁধে বোঝা হয়ে আছে। কক্সবাজার বিপন্ন, টুরিজম ধংস হবার পথে।বিশ্বনেতারা শুধু মুখে মুখে মিঠা কথা বলে, নেত্রীর প্রশংসা করে কিন্তু বাস্তবে সহযোগিতা করে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি স্যামশনের আতংক ছডায়। তারা রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ। মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসে না কেনো-প্রশ্ন জাগে।
সভায় সভা্পতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দীন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক এস এম কামাল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।