Apan Desh | আপন দেশ

বিদেশি দূতাবাসে বিএনপির চিঠিতে যা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ২২ নভেম্বর ২০২৩

বিদেশি দূতাবাসে বিএনপির চিঠিতে যা আছে

ফাইল ছবি

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা থেকে শুরু করে চলমান হরতাল-অবরোধে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, বিস্ফোরণ এবং গুপ্তহত্যার বিবরণ তুলে ধরে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনে চিঠি দিয়েছে তারা।

চিঠিতে  বলা হয়েছে, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে নির্বাচনে যাবে না তারা। বরং রাজপথের আন্দোলন কর্মসূচি জোরদারের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে তারা। এছাড়া কূটনীতিকদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছে।

চিঠিতে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অগ্নিসংযোগ ও সংঘাত নিয়ে ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করে বিস্তারিত বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘চলমান গুম, খুন এবং সহিংসতার’ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে দলটি।

এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতার ঘটনা ক্ষমতাসীনরাই ঘটাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে ভীতির রাজত্ব কায়েমের অশুভ উদ্দেশ্যে প্রতিদিন নৈরাজ্যে লিপ্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারী কর্মীরা। তারা গণপরিবহনে অব্যাহতভাবে অগ্নিসংযোগ করছে আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও করে অপরাধীরা খুব সহজে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েছে। অথচ প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে অধিকাংশ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বা বড় পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি ঘটছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিরোধে কিংবা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে, দেশজুড়ে চলমান নাশকতায় ক্ষমতাসীন অপশক্তি জড়িত। প্রকৃতপক্ষে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের আজ্ঞাবাহী পুলিশ সদস্যরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে চালক বা তাদের সহকারীদের বক্তব্যে স্পষ্ট- কীভাবে পুলিশ বা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা তাদের বাসে আগুন দেয়ার জন্য দায়ী।

উদাহরণ হিসেবে চিঠিতে গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের চাতরি চৌমহনী বাজারে পুলিশ বক্সের কাছে, ৩১ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কাছে, বাংলামোটর মোড়ে, ২৮ অক্টোবর কাকরাইলের কাছে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা এবং ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি ট্রাকে আগুন দেয়ার ঘটনায় ফেনীর স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল উদ্দিন টিপুকে হাতেনাতে গ্রেফতার ও ১৪ নভেম্বর নাটোরের তাশরীক জামান রিফাত নামে আওয়ামী লীগের কর্মীকে মুখোশসহ গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়।

বিএনপি বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হচ্ছে। দেশের বিশিষ্টজনরাও বলছেন, প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে না এলে তা অংশগ্রহণমূলক হবে না।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়