ফাইল ছবি
ফরিদপুর-৩ সদর আসনের একাধিক বারের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। অপরদিকে এবার নৌকার মাঝি হতে পারেননি তার মেয়ের জামাই সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৯৮ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্যসহ ১১ জন।
অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে (সদরের একাংশ ও কামারখন্দ) বর্তমান সংসদ সদস্য ও ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার পরিবর্তে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী মনোনয়ন দেয় দলটি।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ-৪ ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনেও এবার নতুন মুখ বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বর্তমান সদস্য সদস্য তানভীর ইমামের পরিবর্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি এবং সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতার পরিবর্তে তার আপন ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন।
ফরিদপুর-৩ আসনে খন্দকার মোশাররফ প্রথম নির্বাচন করেন ১৯৯৬ সালে। ওই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও তিনি জিততে পারেননি। পরে ২০০৮ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন।
এরপর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী হন। পরে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হন।
তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সেই মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি খন্দকার মোশাররফের। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই ছিলেন। এখন তাদের মধ্যে সে আত্মীয়তায় বিচ্ছেদ ঘটেছে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।