Apan Desh | আপন দেশ

আ.লীগের সমাবেশে শাহজাহানের পাশে বন্দুকধারী বিএনপি নেতা, বিতর্কের ঝড়

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৩৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

আ.লীগের সমাবেশে শাহজাহানের পাশে বন্দুকধারী বিএনপি নেতা, বিতর্কের ঝড়

ছবি: আপন দেশ

এবারের জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে শাহজাহান ওমরের দলবদলই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চমক। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে এসে ঝালকাঠিতে নিজ নির্বাচনি এলাকায় বিতর্কে ঝড় উঠালেন শাহজাহান ওমর। 

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কাঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তার কোমরে ছিল পিস্তল, পাশে বন্দুক হাতে ছিলেন এক বিএনপি নেতা।

এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। আগামী বুধবারের (৬ ডিসেম্ভর) মধ্যে জবাব দিতে হবে।

শাহজাহান ওমর বলেন, ওটা আমার লাইসেন্স করা বন্দুক। আমার প্রটেকশন লাগবে না?

কিন্তু সমাবেশে কেন বন্দুকের প্রটেকশন লাগবে- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি কোনো মিটিংয়ে যাইনি, ওখানে গিয়েছি, লোকজন এসেছে, কথা বলে চলে এসেছি। তবে বন্দুক নেয়াটা আমার ভুল হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভুল হলে আমি দুঃখিত, এমন আর হবে না।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণবিধিমালার ১১(ঘ) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। 

বেলা ১২ টার দিকে কাঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপস্থিত হন শাহজাহান। সঙ্গে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। সেখানে পুরোটা সময় মিয়াজীকে একটি বন্দুক হাতে দেখা যায়।

কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল বসার বাদশা, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপনও উপস্থিত ছিলেন।
শাহজাহান ওমর বলেন, কাঠালিয়া আওয়ামী লীগের কোনো গ্রুপিং থাকতে পারবে না। এখানে তরুণ লীগ, কিবরিয়া লীগ, বুড়া লীগ ও বাচ্চা লীগ থাকতে পারবে না। এখানে থাকবে শুধু শেখ হাসিনা গ্রুপ।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন এই নেতা ১৯৭৯ সালে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য হন। এরপর ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে একটি ছাড়া সব কটিতেই বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। কেবল ২০০৮ সালে অন্য একজনকে প্রতীক দেয় দলটি।

২০১৬ সালের জাতীয় সম্মেলনে শাহজাহানকে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দেয় বিএনপি। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার কাকরাইল ও বিজয়নগরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় গাড়ি পোড়ানোর মামলায় ৫ নভেম্বর গ্রেফতার হন তিনি।

নির্বাচনে অংশ নিতে হলে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হওয়ার আগের দিন জামিনে মুক্তি পান তিনি। ৩০ নভেম্বর তাকে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ, যদিও এর আগে সেখানে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনবারের সংসদ সদস্য বজলুল হুদা হারুন।

কাঠালিয়া আওয়ামী লীগের জমায়েতে শাহজাহান ওমর বলেন, আমি এবং বিএনপির দলবলসহ আপনাদের মেহমান। আমাদের বরণ করে নেবেন। আমরা শিক্ষিত লোক, আমাদেরকে সম্মান করলে আপনাদেরকেও সম্মান করব।

সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান শাহজাহান ওমর।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়