ফাইল ছবি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘চমক’ ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। বিএনপি নেতা হিসাবে ঢুকেছিলেন কারাগারে। একদিন পর মুক্ত। কবুল বলেছেন শাসক দল আওয়ামী লীগকে। নির্বাচনে পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। নবাগত হলেও নিজেকে সাচ্চা জাহির করতে রাতারাতি উধাও করেছেন বিএনপির দলীয় কার্যালয়। জিয়ারত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার।
সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল কিন্তু বিজয়ী হবার ১৬ দিনের মাথায় এলো আদর্শিক ঝড়। শাহজাহান ওমরের নির্বাচনী আসন ঝালকাঠি-১ এর রাজাপুর আওয়ামী লীগ তাকে না বলে দিয়েছে। অভিযোগ এনেছেন, বাইরে বিএনপি ত্যাগ করলেও ভেতরে বিএনপি নেতাদেরই ডানেবামে রেখেছেন। তাই ঘরের ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুলকে বেছে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের তারা।
আরও পড়ুন<<>> ওমরের হাতে নৌকা, অস্বস্তিতে আ.লীগ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচনে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা। নবাগত শাহজাহান ওমরকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নৌকার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজাপুরের নেতারা। পরে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গত ১৮ ডিসেম্বর নৌকার বিপক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এনিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজ, সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান লিটনসহ অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মীর স্বাক্ষরিত ওই রেজুলেশনে বলা হয় মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীর উত্তম উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এজন্য তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনিরের পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজ জানান, নৌকার মনোনয়ন পেয়েও শাহজাহান ওমর সাহেব তার পুরোনো দল বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেননি তিনি। এ কারণে দলীয় নেতাকর্মীরা শাহজাহান ওমরের পক্ষে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।