ছবি : আপন দেশ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি হলো একটি ভুয়া দল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি হল পরগাছা। এ পরগাছাকে রাজনীতি থেকে অস্তিত্ব বিলীন করতে হবে। বিএনপি ফাউল করে লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ পড়েছে। তাদের আর রাজনীতির মাঠে খেলার সুযোগ নেই-যোগ করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট বাজারের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডনে বসে, দন্ডিত আসামি তারেক রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চালায়। মনে করেছে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ৭১ সালে অসহযোগ হয়েছে। আজ তারেকের কথায় অসহযোগ নয়, বাংলাদেশের জনগণ তারেকের সঙ্গে অসহযোগিতা করবে, অসহযোগ করবে। অসহযোগ করে বিএনপি নামক পরগাছাকে হটিয়ে দেবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, এরা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধ মানেনা, স্বাধীনতা মানেনা। এরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। মোস্তাক আর জিয়া জেল খানায় হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এরা বিএনপি পল্টনে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা হত্যা করেছে। এরা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, পুলিশের হাসপাতালে হামলা করেছে।
বিএনপির অসহযোগের প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, বাংলার জনগণ তাদের সঙ্গে অসহযোগ করবে। বিএনপি আজকে প্ল্যান করছে, খাজনা দিবেনা, ট্যাক্স দিবেনা। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে। বিএনপি গণতন্ত্র করবে এটা শুনছে ঘোড়াও ডিম পাড়ে। পল্টনের রাস্তা থেকে পালিয়ে গেল কারা? এক দফা গেল কোথায়? ৫৪ দল কোথায় গেল? ৩২ দফা কোথায় গেল? এ বিএনপি বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবার শেষ করেছে।
বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা মানে না। ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিনিতে মানুষ হত্যা করা ঠিক সেইভাবে আন্দোলনের নামে তারা মায়ের বুকে শিশুকে পুড়িয়ে মারে। এরা গণতন্ত্র হত্যাকারী দল। যারা ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করে প্রহসনের নির্বাচন করতে চেয়েছে।
এলাকার ভোটারদের উদ্দেশ্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব যদি বাঁচাতে চান, ক্ষমতার মঞ্চে আমরা শেখ হাসিনাকে আবারও চাই। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। স্বাধীনতা ও উন্নয়ন বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
নিজ এলাকার উন্নয়নের বিষয় বলেন, এই কবিরহাট এক সময় অবহেলিত ছিল এখানে গত ১৫ বছরে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, কালবার্ট, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামী দিনে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে রক্ষা করতে, হলে মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে ৭ তারিখ ফাইনাল খেলায় জিততে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোরশেদ আলম, নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি মোহাম্মদ.ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান প্রমূখ।
এর আগে সকালে ওবায়দুল কাদের নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৬ আসনের কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট, শান্তিরহাট, রংমালা বাজার, বাংলা বাজার, পেশকারহাট, নতুন বাজার টেকেরবাজারসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন।
আপন দেশ/প্রতিনিধি/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
