ছবি: আপন দেশ
আসন্ন নির্বাচন। মাঠে দুইপক্ষ। সবকিছু ঠিক থাকলে ১২ দিন পরই ভোট। লিস্টে নাম থাকায় রীতিমত বিপদে ভোটার। বিজয় নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীনরা যেকোন মূল্যে কেন্দ্রে চায় ভোটারকে।
বিরোধীরা নেমেছে ভোট ঠেকাতে। শুধু তাই নয়, ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান রাখছে। দিন যত যাচ্ছে উত্তেজনা ততই বাড়ছে উভয় শিবিরে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সাধারণ মানুষ। ওদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন উন্নয়ন সহযোগী পশ্চিমারা। বাড়াবাড়ির লাগাম টানতে দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞার হুমকি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘আমাদের পক্ষে’ জাহির করতে সরকার ও বিরোধী দল নানা বুলি আওড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৃষ্ট দূরত্ব অনেকটাই মিটে গেছে। অন্যদিকে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির দাবি, বর্তমান সরকার স্বৈরাচারী। আর স্বৈরাচারের বিপক্ষে মার্কিনিরা। তাই নিষেধাজ্ঞা যেকোন সময়।
এ পরিস্থিতিতে পুরো দেশের জন্য অশনিসংকেত দেখছেন রাজনীতিক বোদ্ধারা। তারা বলছেন, উভয় পক্ষের বাড়াবাড়িতে হুমকির নিষেধাজ্ঞা বাস্তব রূপ নিতে পারে। এতে করে চরম বিপদে পড়বে দেশ। বোদ্ধাদের অশনিসংকেতের সঙ্গে যোগ হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বাভাসও। তিনি বলেছেন, দেশে-বিদেশে চক্রান্ত হচ্ছে, ‘মার্চের মধ্যে ওরা দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাতে চায়’।
আরও পড়ুন>> ‘যদি তেমন কিছু করতে যাই দল ভেঙে যাবে’
মানুষের উদ্বেগ কাটাতে আর বোদ্ধাদের আশ্বস্ত করতে সরকারের মন্ত্রীরা ঘরের কথা বাইরে আনছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দুই মাস আগে বলেছেন, কোথায় ভিসানীতি, তলে তলে সব আপোষ হয়ে গেছে। অন্যদিকে আজকে (২৭ ডিসেম্বর) বিদেশ মন্ত্রী (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ড. একে মোমেন জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে তলে তলে কোনো আপোষ হয়নি। পাশাপাশি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় দেশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো টানাপোড়েন নেই।
দুই মাস আগে সেতুমন্ত্রী বললেন বিদেশিদের সঙ্গে আপোষ হয়ে গেছে। আর এখন খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন কোনো আপোষ হয়নি। সাদামাটা মানুষের প্রশ্ন নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে কার কথা সঠিক?
আপন দেশ/এবি/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।