Apan Desh | আপন দেশ

তৃণমূল বিএনপির ৬০ প্রার্থীর অভিযোগ

‘জাতীয় বেঈমান শমসের-তৈমুর, ৬০ প্রার্থীর নির্বাচনী ফাণ্ড নিয়ে পালিয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২১:৫৩, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

‘জাতীয় বেঈমান শমসের-তৈমুর, ৬০ প্রার্থীর নির্বাচনী ফাণ্ড নিয়ে পালিয়েছে’

ছবি : আপন দেশ

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। আর দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেছেন দলটির ৬০জন প্রার্থী। তারা সবাই তৃণমূল বিএনপি থেকে বিভিন্ন এলাকায় ভোট করছেন। অভিযোগকারীরা সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, তারা ভোট বানচালের চক্রান্তে লিপ্ত। আমাদের নির্বাচনী যে ফান্ড, সেটারও কোনো খবর পাচ্ছি না। ফাণ্ড নিয়ে তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। 

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ৬০ প্রার্থীর পক্ষে এ অভিযোগ জানানো হয়।

আলোচনা সভায় যশোর-৫ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোস্তফা গণি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেছি। আমরা যে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করতে যাচ্ছি। সেখানে প্রচণ্ড বাধা সৃষ্টি করেছেন শমসের ও তৈমুর আলম খন্দকার। তারা আমাদের সঙ্গে নজিরবিহীন অসমন্বয় করে, বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আপনি এর বিচার করুন। আমরা দলের কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নই।

তিনি বলেন, আপনারা যদি আজকে শমসের ও তৈমুর আলমকে জিজ্ঞেস করেন তারা বলবে, দলে বিচ্ছিন্ন অংশ ষড়যন্ত্র করছে। আমি মেজর (অব.) গণি বলতে চাই, আমরা দলের কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নই। ‌দলের যারা অবহেলিত সংসদ সদস্য প্রার্থী তাদের পক্ষ থেকে কথা বলতে দাঁড়িয়েছি। তৈমুর-শমসের ও অন্তরা হুদা আমাদের নির্বাচনের মাঠে দাঁড় করিয়ে যে তামাশা করছেন, জাতির কাছে তার হিসাব দেন।

মোস্তফা গণি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের সমস্যা সমাধান না করেন তাহলে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হব এবং আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হব।

ময়মনসিংহ-৪ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী দীপক চন্দ্রগুপ্ত। তিনি বলেন, আমাদের দলের চেয়ারম্যান-মহাসচিব শুরু থেকেই বলেছেন সবপ্রকার সাহায্য সহযোগিতা আমাদের করবেন। গত কয়েকদিন আগে ২৬ তারিখে তারা আমাকে ডেকে এনে বসিয়ে রেখেছেন। সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। নির্বাচনের দিক-নির্দেশনা তাদের কাছ থেকে পাচ্ছি না। কি করব না করব, কিছুই বুঝতে পারছি না। এতিমের মতো অবস্থায় আছি।

সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা: ছবি আপন দেশ

নির্বাচন বানচালের ষডযন্ত্র করার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, আমরা মাঝ পথে এসে জানতে পেরেছি তারা অন্য দলের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে নির্বাচন বানচাল করার জন্য চেষ্টা করছে। আমাদের নির্বাচনী যে ফান্ড, সেটারও কোনো খবর পাচ্ছি না। আমাদের সাহায্য সহযোগিতা না করে তারা গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। ফলে আমরা নির্বাচনে বিতর্কিত অবস্থার মধ্যে পড়েছি।

সভার সভাপতি ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী খন্দকার এমদাদুল হক সেলিম। তিনি বলেন, আমাদের সভাপতি-মহাসচিব কোনো যোগাযোগ রাখেন না। আমরা কীভাবে আছি, না আছি, মাঠে নির্বাচনের অবস্থা কী তার কোনো খোঁজ রাখছেন না। আমাদের সভাপতি-মহাসচিব বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। এখন তারা আমাদের তৃণমূল বিএনপির সভাপতি-মহাসচিব। উনাদের উদ্দেশ্য আমরা এখন যেটা বুঝতে পারছি, অন্যান্য দলের সঙ্গে উনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা বজায় রেখেছেন। উনারা অন্তরে এক কথা বলেন, মুখে আরেক কথা বলেন।

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন তৃণমূল বিএনপি মনোনীত বরগুনা-২ আসনের প্রার্থী ইউনূস সোহাগ, কুমিল্লা-২ আসনের মো. মাঈনুদ্দিন, নেত্রকোনা-৪ আসনের আল মামুন, নেত্রকোনা-৫ আসনের আব্দুল ওয়াহাব হামিদী, মাগুরা-১ আসনের সঞ্জয় রায় রনি, মাদারীপুর-৩ আসনের প্রবীণ হালদার প্রমুখ।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়