ফাইল ছবি
নির্বাচনে ভোটারের অনুউপস্থিতিতে সন্তোশ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আমীর মুজিবুর রহমান আজ (৭ জানুয়ারি) এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী বাংলাদেশে আরও একটি ভোটারবিহীন প্রহসনের ডামি নির্বাচন দেখল। দেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছেন। গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রসমূহ অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। সরকার সকলের মতামত অগ্রাহ্য করে একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে।
জামায়াতের এই আমীর বলেন, প্রহসনের এ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে সরকার নিজেদের দলীয় লোকদের স্বতন্ত্র, বিদ্রোহী ও ডামি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার অপচেষ্টা চালায়। দলীয় ক্যাডার ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভোটারদেরকে ভোট দেয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়। সরকারের সকল অপকৌশলকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে জনগণ ভোট দেয়ার জন্য ভোট কেন্দ্রে যায়নি। প্রহসনের নির্বাচনের প্রতি শুরু থেকেই ভোটারদের কোনো আগ্রহ ছিল না। ফলে নির্বাচনে ভোটারদের কোনো উপস্থিতিই লক্ষ্য করা যায়নি। বাংলাদেশের প্রায় শতভাগ মানুষ এ ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয় অর্জিত হয়েছে এবং অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে জনগণ প্রমাণ করেছে যে, এই নির্বাচনের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে ভোটদানে বিরত থেকে বাংলাদেশের জনগণ কেয়ারটেকার সরকারের পক্ষে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জনগণ বুঝিয়ে দিয়েছে যে, কেয়ারটেকার সরকার ব্যতীত দলীয় সরকারের অধীনে প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে তারা রাজি নয়। জনগণ সাহসিকতা ভোট বর্জন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সাহসী জনতার প্গরতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সরকারকে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি সরকার জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিবে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
