ফাইল ছবি
দেশের ২০তম জেলা জামালপুরের সন্তান মির্জা আজম। রাজনৈতিক কর্মী থেকে আইনপ্রণেতা তিনি। একবার দু’বার নয়; টানা সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তার জামালপুর-৩ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
এই জেলায় শুধু আওয়ামী লীগেই নয় বলা চলে প্রায় সব দলেই তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। জেলায় রাজনীতির চেয়ে তার কাছে বেশি গুরুত্ব জেলার মানুষের স্বস্তি। এই জেলায় রাজনৈতিক অস্থিরতা বলা চলে অনেকাংশেই কম।
কি মন্ত্রে সাতবার নির্বাচিত হলেন- প্রশ্নের জবাবে মির্জা আজম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। সেই সময় আমার বয়স মাত্র ২৮। নেত্রী ( শেখ হাসিনা) আমাকে বলেছিলেন, যদি সৎ জীবন যাপন করো, সারা জীবন এমপি হতে পাররে। আল্লাহর রহমত আর নেত্রীর সেই মন্ত্রই আমাকে ছয়বার এমপি বানিয়েছে।
মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ এ দুই উপজেলার ১৫৩ কেন্দ্রের ফলাফলে বেসরকারীভাবে মির্জা আজম (নৌকা) প্রতীকে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) মীর সামছুল আলম লিপটন পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭০ ভোট। জাতীয় পার্টি জেপির (সাইকেল) প্রতীকের প্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩৫ ভোট।
রোববার (৭ জানুয়ারি) প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে মানুষ ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন। জেলার এ আসনের দুই উপজেলার ৩ পৌরসভা ও ১৮ ইউনিয়নের ১৫৩ টি ভোট কেন্দ্রে কোন সংঘাত ছাড়াই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
১৯৯১ সাল। পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তখন মির্জা আজমের বয়স মাত্র ২৮। জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকে লড়াই করেন তিনি। বিজয় হন। ওই সংসদ অধিবেশনে তিনি সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। এরপর তিনি টানা ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ৬ষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় হুইপ ছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি সরকারদলীয় হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। এবারও দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনে সপ্তমবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন জনপ্রিয় এই রাজনীতিবীদ। শুধ এমপিই নয়, দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের তার ডাক পড়ে। গত কাউন্সিলে বেশ জোরেসোরেই আলোচনা হয়েছিল তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেতে পারেন।
মির্জা আজমের ঘণিষ্ঠজনদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার অধীনে যুব নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মির্জা আজম-জাহাঙ্গীর কবির নানক। তাই গণমাধ্যম থেকে প্রশ্ন এলেও তিনি সহাস্যে জবাব দিয়েছেন, সবদিক থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক হবাবর জন্য কাদের ভাই এখনো ফিটেষ্ট। তার শেষ হলে আমাদের তিনিই বসিয়ে দিবেন...।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।